নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। ক্রমেই তা মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। নিজের মৌলিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষেরা বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন।
সামনেই রোজা তাই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ে সবার কপালেই চিন্তার ভাজ। সবার একটাই দাবি পবিত্র মাহে রমজানে যেনো না বাড়ে কোনো জিনিসের দাম।

আজ (১৪ মার্চ) মঙ্গলবার ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর তথ্য অনুযায়ী ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। যা গতকাল বিক্রি হয়েছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়। আর দেশী মুরগির দাম ৪৮০ থেকে ৬৬০ টাকা। গরুর মাংসের প্রতি কেজির দাম ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা দরে। ফার্মের মুরগির ডিমের দাম প্রতি হালি ৪২ থেকে ৪৫ টাকা।

আজ বাজারে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। ইলিশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১৬০০ টাকায়।

বড় দানার ১ কেজি ডালের দাম ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, আর মাঝারী দানার ডালের প্রতি কেজির দাম ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। দেশী ডাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। আর নেপালী ডালের দাম ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকা। মানভেদে প্রতি কেজি মুগ ডালের দাম ১১০ থেকে ১৩৫ টাকা। এ্যাংকর ডাল প্রতি কেজির দাম ৬৮ থেকে ৭২ টাকা। আর ছোলা মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়।

সরু চাল (নাজির/ মিনিকেট) প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭৫ টাকা করে। মাঝারী চাল (পাইজাম/ লতা) বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা দরে। যা গতকাল বিক্রি হয়েছে ৫২ থেকে ৫৬ টাকা কেজি। মোটা চাল (স্বর্ণা/ চায়না/ ইরি) প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫০ টাকায়।

বাজারে আলু প্রতি কেজির দাম ১৮ থেকে ২২ টাকা। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৬০ টাকায়। কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি। লম্বা বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬৫ টাকা দরে।

আজ বাজারে লুজ সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ থেকে ১৭২ টাকায়। ১ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা। ২ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ থেকে ৩৭৫ টাকায়। আর ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ৮৭০ থেকে ৮৮০ টাকা। লুজ পাম ওয়েলের দাম প্রতি লিটার ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা।
বাবু/ এনবি