স্মার্টফোন আধুনিক জীবনের আবশ্যকীয় অনুষঙ্গই বলতে গেলে। এ ইলেকট্রনিক্স পণ্যটি ছাড়া যেন মানুষের একমুহূর্তও চলে না। শুধু তাই না, এটি ঢুকে গেছে মানুষের নিয়মিত অভ্যাসের মধ্যেও।
তাই স্মার্টফোন ব্যবহারে শারীরিক বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং এ নিয়ে চলছে নিয়মিত গবেষণাও।
ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল বিষয়ক আন্তর্জাতিক অনলাইন সাইট ইউবিউটির এক প্রতিবেদনে উঠে আসে, কথা বলার সময় স্মার্টফোন কীভাবে ধরতে হবে, কানের কাছে কতটুকু দূরত্ব থাকবে সেটি।
যুক্তরাষ্ট্রের হেনরি ফোর্ড হাসপাতালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে কানে স্মার্টফোন ধরে মানুষ কথা বলে, সেটিই মূলত নির্দেশ করে ব্রেইনের কোন অংশটি বেশি সক্রিয়।
মূলত বিপরীত প্রক্রিয়ায় কাজটি হয়। মানুষ যখন ফোনে ডান কান দিয়ে শোনে তাহলে ব্রেইনের বাম অংশটিই অধিক সক্রিয় থাকে। একইভাবে যখন বাম কান দিয়ে শোনে তাহলে ব্রেইনের ডান অংশটিই অধিক সক্রিয় থাকে।
ব্রইনের কোন অংশ বেশি সক্রিয় থাকে সেটির ওপরেও নির্ভর করে মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। বাম ব্রেইন সক্রিয় মানুষ অনেক বেশি বিশ্লেষণধর্মী হয়। আবার ডান ব্রেইন সক্রিয় মানুষ হয় সৃজনশীল।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, বাম ব্রেইন সক্রিয় মানুষ ভাষা ব্যবহারে অনেক বেশি যত্নবান হন, নতুন ভাষার প্রতি তারা আকৃষ্ট হন। কাজে একাগ্রতা তৈরি হয়, নেতিবাচক অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সহজে। সে তুলনায় ডান ব্রেইন সক্রিয় মানুষরা অনেক বেশি অনুভূতিপ্রবণ হন সেই সঙ্গে নিজেকে প্রকাশ করেন বেশি।
এখন কি তাহলে মানুষ লুকিয়ে ফোনে কথা বলবে, যেহেতু কানে ফোন ধরার মধ্য দিয়ে তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যও প্রকাশ হয়ে পড়ে! আসলে এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। অধিকাংশ মানুষ ডান কানেই স্মার্টফোন ধরে, সে তুলনায় বাম কানে ফোন রেখে কথা বলার মানুষ অল্পই।
-বাবু/এ.এস