মঙ্গলবার ১ জুলাই ২০২৫ ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ১ জুলাই ২০২৫
বারোমাসি জাতের তরমুজ চাষে সাফল্য পাচ্ছেন কৃষকরা
নিবেদিতা বিনতে ওয়াদুদ
প্রকাশ: শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩, ১:০৬ PM আপডেট: ২৫.০৩.২০২৩ ২:২১ PM

তরমুজ পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমাদের দেশে এখন বিভিন্ন রকমের তরমুজ পাওয়া যায়। তরমুজের ৯২ ভাগই পানি, ৬ ভাগ চিনি এবং এতে অন্য উপাদান রয়েছে ২ ভাগ। এটি ভিটামিন ‘এ’ জাতীয় ফল।

দিন দিন তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। তরমুজ চাষ করে তারা সাফল্য পাচ্ছেন। তার মধ্যে বারোমাসি তরমুজ চাষে কৃষকরা বেশি সাফল্য পাচ্ছেন। তরমুজ সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে ওঠে। এটাই তরমুজের প্রধান মৌসুম। কিন্তু সম্প্রতি দেশের বাজারে এ সময় ছাড়া অন্য সময়েও তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ তরমুজ বেশি পাওয়া যায়। এ তরমুজকে অনেকে নাম দিয়েছেন 'বারোমাসি তরমুজ'। 

ছোট, লম্বাটে, ডিম্বাকার, কালো খোসা, ভেতরে টকটকে লাল শাঁসের তরমুজগুলো অসময়ে ওঠার কারণে বাজারে চাষিরা ভালো দাম পাচ্ছেন। কোনো স্থানে হলুদ রঙের খোসার অমৌসুমি তরমুজেরও চাষ হচ্ছে। দিন দিন অমৌসুমে তরমুজ চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। হবিগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, মৌলভীবাজার, ভোলা প্রভৃতি জেলায় কিছু কৃষক ইতোমধ্যে এই বারোমাসি তরমুজ চাষ করে বিঘাপ্রতি প্রায় দেড় লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন।

এক বিঘায় এ জাতের তরমুজের ফলন হয় প্রায় ৬ থেকে ৮ টন। ছোট আকারের বারোমাসি তরমুজের বেশ কয়েকটি জাতের বীজ এ দেশে এখন পাওয়া যাচ্ছে। এসব জাতের মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হলো বস্ন্যাক বেবী, বস্ন্যাক প্রিন্স, বস্ন্যাক বক্স, জেসমিন-১, জেসমিন-২, জেসমিন-৩ ইত্যাদি। এসব জাত বছরের যে কোনো সময় চাষ করা যায়। মধ্য মার্চ থেকে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এ জাতের তরমুজের চারা লাগানো যায়। বিঘায় মাত্র ৫০ গ্রাম বীজ লাগে। বিঘায় ১৪০০টি চারা লাগে। জমি তৈরির আগেই পলিথিন ব্যাগে চারা তৈরি করে নিতে হবে। ঝুঁকি এড়াতে শতকরা ১০ ভাগ চারা বেশি উৎপাদন করতে হবে।

তরমুজ মূলত বালি-পলি মাটিতে চাষ হয়। কিন্তু, পলি মালঞ্চিং পদ্ধতিতে এখন এঁটেল মাটিতেও তরমুজ ফলানো সম্ভব হচ্ছে। বিঘায় অনায়াসেই চার টন ফলন পাওয়া যায়। প্রতি টন তরমুজ বিক্রি করে দাম পাওয়া যায় ২০ হাজার টাকা। পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে অসময়ে তরমুজ উৎপাদনে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছেন উপকূলের কৃষকরা। সাধারণ পদ্ধতিতে বছরে একবার ফলন হলেও পরিবেশবান্ধব এ পদ্ধতি বছরজুড়েই চাষ করা যায় রসালো ফলটি। অসময়ে চাষ হওয়ায় অধিক লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা আর বাজারে চাহিদাও বেশি। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানির সুযোগ রয়েছে কৃষকের। 

বাবু/ এনবি
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


Also News   Subject:  তরমুজ চাষ   সাফল্য   







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত