বঙ্গোপসাগরে ৯ মে থেকে ১১ মের মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে ১১ থেকে ১৫ মের মধ্যে। আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হলে নাম হবে ‘মোচা’। নামটি দিয়েছে ইয়েমেন।
বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া মডেল পর্যবেক্ষণ করে কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কার কথা তিন দিন আগে জানিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা। ধীরে ধীরে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টির বিষয় আরও স্পষ্ট হচ্ছে। সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে, ১১ মে মধ্যরাতের পর থেকে ১৩ মের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানলে বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ থাকতে পারে ১৫০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার। মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি আঘাতের স্থান প্রতিদিনের পূর্বাভাসে পরিবর্তিত হতে পারে। এটি ভারতের ওডিশা রাজ্যের উপকূলে আঘাতের শঙ্কাও নাকচ করা যায় না। বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলে আঘাত হানলে সম্ভাব্য সময় মে মাসের ১৩ থেকে ১৫ তারিখ। বাতাসের সম্ভাব্য গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার।
এ গবেষক বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া কোনো ঘূর্ণিঝড় কী পরিমাণ শক্তিশালী হতে পারে, তা নির্ভর করে নিম্নচাপটি বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ, মধ্য নাকি উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে। সেইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর ঝড়টি চলার পথে সমুদ্রপৃষ্ঠে অপেক্ষাকৃত গরম পানির ওপর দিয়ে নাকি ঠান্ডা পানির ওপর দিয়ে উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে, তার ওপরও এর শক্তি নির্ভর করে।
বাবু/জেএম