আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি গুলশানে গুজবের কারখানা চালু করেছে। এখান থেকে সারা দেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছে। অনলাইনে আজগুবি মিথ্যা কথা বলছে। এই গুজবের কারখানা বন্ধ করতে হবে।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এ শান্তি সমাবেশ হয়।
নয়াপল্টনে বিএনপির মিথ্যাচারের কারখানা রয়েছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এখান থেকে তাদের গলার জোর দেখানো, বিষোদ্গার সমানে চলছে। বিএনপি পদযাত্রার আড়ালে সহিংসতা ও অগ্নিসন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে, লবিং করছে, টাকা ছড়াচ্ছে শেখ হাসিনাকে হটিয়ে দেবে, এটাই একমাত্র ষড়যন্ত্রের মূল কথা। শেখ হাসিনা বিদেশে নালিশ করতে যাননি। দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য গেছেন। বিদেশ থেকে যথাযথ সহযোগিতার আশ্বাসও পেয়েছেন।
তিনি বলেন, সংবিধানই বলে দেবে কীভাবে নির্বাচন হবে। বিদেশি বন্ধুদের বলব, বিএনপি যতই নালিশ করুক নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু, পক্ষপাতমুক্ত ও ঐতিহাসিক। এ দেশে এ নিয়ে আপনাদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিই জনগণের রোষানলে পড়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে যারা পদযাত্রা করছে তাদের বিরুদ্ধে রোষানল করছে জনগণ। দেশের মানুষ শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে। জনগণ শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে মুগ্ধ।
তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব, যতই লাফালাফি করেন, আপনাদের আন্দোলনের দিন শেষ। মানুষ ছাড়া আন্দোলন হয় না। মানুষ বুঝে গেছে মাজাভাঙা দল দিয়ে আন্দোলন হবে না। বিএনপি আন্দোলনের দল নয়, এটা সারা দেশে প্রমাণ হয়ে গেছে। আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনেও ব্যর্থ হবে এজন্য তারা এখন ষড়যন্ত্র করছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ফখরুল সাহেব আওয়ামী লীগকে অবৈধ দল, অনির্বাচিত সরকার বলে। আসলে বিএনপি অবৈধ দল। ৯ বছরে ফখরুল সম্মেলন ছাড়া মহাসচিব। তাদের দলের ভেতরই গণতন্ত্র নেই, দেশে গণতন্ত্র আনবে কীভাবে?
আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে বিজয়ী হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সত্যের প্রশ্নে আপস করেন না।
তিনি বলেন, জিনিসপত্রের সাময়িক দাম বৃদ্ধির বিষয়টি শেখ হাসিনা জানেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, সারা বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি। পাকিস্তানে ৩৩ শতাংশ, আর্জেন্টিনায় শতভাগ মুদ্রাস্ফীতি। আর বাংলাদেশে ৯ এর নিচে ধরে রাখতে পেরেছেন শেখ হাসিনা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন—আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম ও মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আফজাল হোসেনসহ অনেকে।