বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ দলের ৫৫ জন নেতাকর্মী আগাম জামিন পেয়েছেন।
জামিনপ্রাপ্তরা রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় করা ২টি, নিউমার্কেট থানায় করা একটি, জামালপুর থানার একটি এবং নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার একটি মামলার আসামি। আসামিরা সশরীরে হাজির হয়ে আগাম জামিনের আবেদন জানালে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চ তাদের ছয় সপ্তাহের জামিন দেন।
এ সময়ের মধ্যে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। জামিন পাওয়া অন্য নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম, সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন, নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মোস্তাফা-ই জামান সেলিম প্রমুখ। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কায়সার কামাল, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সালেহ আকরাম সম্রাট, রোকনুজ্জামান সুজা প্রমুখ। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ৫৫ আসামির আগাম জামিন প্রাপ্তির বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ায় শিবপুর স্কুল মাঠে বিএনপির জনসভায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেন। এ ঘটনায় গত ২৩ মে বিকেলে জামালপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ। মামলায় আবু সাঈদ চাঁদসহ সাতজন ও অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত ২৩ মে ধানমন্ডি থানায় দুটি ও নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। এ ছাড়া গত ২৫ মে নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা হয়।