শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ৬ আষাঢ় ১৪৩২
শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫
আওয়ামী লীগের ঘাঁটি গোপালগঞ্জ, মাঠে নেই অন্য দল
শেখ মোস্তফা জামান, গোপালগঞ্জ
প্রকাশ: রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০২৩, ১২:১৮ PM আপডেট: ২৩.০৭.২০২৩ ১২:২০ PM

গোপালগঞ্জের তিনটি আসন বরাবরই আওয়ামী লীগের ঘাঁটি ও ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত। এ আসন তিনটি থেকে বরাবরই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করে আসছে। ফলে অন্য দলের প্রার্থীদের জমানত বায়োজাপ্ত হয়ে যায়। এখানকার মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা ও ভরসার প্রতীক নৌকা। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গোপালগঞ্জেও বইছে নির্বাচনী হাওয়া। তবে মাঠে নেই বিএনপির প্রার্থীরা। আসনগুলো বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে। গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজার ও চায়ের স্টলগুলোও সরব হয়ে উঠেছে জাতীয় নির্বাচনী আলোচনায়।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসায় গোপালগঞ্জের যে উন্নয়ন হয়েছে, তা দেখেও বিএনপির অনেক নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগে। এছাড়াও এবারে গোপালগঞ্জে ভোটার সংখ্যা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় সোয়া লাখ।

গোপালগঞ্জ-১ (মুকসুদপুর-কাশিয়ানী) : মুকসুদপুর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এবং কাশিয়ানী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে তিনবারের নির্বাচিত এমপি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান। ’৯৬-এ প্রথম তিনি এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনীত হন এবং লক্ষাধিক ভোটের বিশাল ব্যবধানে জয়ী হন। এ আসনে এবার লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খানসহ আওয়ামী লীগ  থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ কাজী হারুন অর রশীদ মিরন, কে এম মাসুদুর রহমান, অ্যাডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু, খোন্দকার মঞ্জুরুল হক লাভলু।

বিএনপির মনোনয়ন প্রাপ্তির দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে সেলিমুজ্জামান সেলিম, সাবেক এমপি এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর ও অ্যাড. জয়নুল আবেদুন মিজবাহ। এ এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান। জাতীয় পার্টি থেকে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন কাশিয়ানী উপজেলা  সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল মান্নান মুন্নু ও দীপা মজুমদারের নাম। এছাড়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (ইনু) প্রার্থী হিসেবে আজম শরীফের নাম শোনা যাচ্ছে।

গোপালগঞ্জ ২ আসন (গোপালগঞ্জ সদর ও কাশিয়ানী একাংশ) : গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ২১ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এবং কাশিয়ানীর বাকি সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে রয়েছেন টানা আট বারের নির্বাচিত সংসদ-সদস্য, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

’৮০-এর উপনির্বাচনের মধ্য দিয়ে তিনি এ আসনে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সেই থেকে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে এলাকার মাটি ও মানুষের সঙ্গে। অদ্যাবধি তিনিই এ আসনের অভিভাবক হয়ে রয়েছেন। তার পক্ষে নির্বাচনী মাঠে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে তার ছোট ছেলে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম।

এ আসনে বিএনপির প্রার্থী বিগত দুটি নির্বাচনে তিনি এ আসন থেকে চার-দলীয় জোট মনোনীত প্রার্থী ছিলেন; কিন্তু দু’বারই তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

বিএনপির প্রার্থী হিসাবে যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা হলেন শরফি রুফিকুজ্জামান, এম এইচ খান মঞ্জু, এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও এস এম আজিজুর রহমান।

এছাড়াও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ সাহিদুর রহমান  টেপা প্রার্থিতা চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে। জাসদ (ইনু) গোপালগঞ্জ জেলার সভাপতি শেখ মাসুদুর রহমানের নামও শোনা যাচ্ছে।

গোপালগঞ্জ-৩ আসন  (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) : টুঙ্গিপাড়ার পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবং কোটালীপাড়ার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে রয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ আসন থেকে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ’৮৬-এর নির্বাচনে। এরপর থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে তাঁর কোনো বিকল্প নেই। প্রতিবারই তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন।

এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে  নির্বাচন করতে পারেন  এস. এম. জিলানী ও  আফজাল মাস্টার।

বাবু/এ.এস

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


Also News   Subject:  গোপালগঞ্জ  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত