ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য আবদুল মতিন ভূঁইয়া আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন চান। তিনি জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
২১ নভেম্বর বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ও জমা দেন। মনোনয়ন প্রত্যাশার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কৈশোর থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে রাজনীতি করি। মতিঝিলে ৪০ বছর ধরে বিভিন্ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছি। এখন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে যুক্ত আছি। এছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছি। ৯০'র দশকে অবিভক্ত মতিঝিল থানা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্বে ছিলাম। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমাকে মূল্যায়ন করবেন বলে প্রত্যাশা করছি।
প্রসঙ্গত, আবদুল মতিন ভূইয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬ সালে বি এস এস (সম্মান) অর্থনীতি, ১৯৮৭ সালে এম এস এস (অর্থনীতি) পাস করেন। বর্তমানে মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদেরও সভাপতি। পাশাপাশি কয়েকটি ব্যবসায়িক সংগঠনেরও নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও আব্দুল মতিন ভূইয়া যে সব রাজনৈতিক-সামাজিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততা রয়েছেন- তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। সাবেক সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কেন্দ্রীয় উপ কমিটি । সাবেক সদস্য' সাংস্কৃতিক উপকমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি। সাবেক দপ্তর সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি (১৯৯২-২০২০)। সাবেক সহ-সভাপতি, সাবেক ৫২ ও ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ (বর্তমান ৮ নং ওয়াড আওয়ামী লীগ) । সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ফেনী কলেজ শাখা (১৯৮২-১৯৮৩)। সাবেক আহ্বায়ক, (১৯৭৯-১৯৮১): বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আলী আজম উচ্চ বিদ্যালয়, ফেনী। ফেনী-১ নির্বাচনী এলাকা থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী।
৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়ার স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। ১/১১ দুঃসময়ে সাব জেলের সামনে প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত মাননীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের নেতৃত্বে আন্দোলন সংগঠিত ও দেশের বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্দিজীবীদের উপস্থিত করে নেত্রীকে উপহার প্রেরণের দায়িত্ব পালন। ইয়াজ উদ্দিন-আজিজ মার্কা সরকারের সময়ে নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৎকালিণ সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রয়াত আলমগীর কুমকুমের নেতৃত্বে সকল মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমন্বয় করার দায়িত্ব পালন করেন ।
ব্যবসায়িক সংগঠনের মধ্যে-
সেক্রেটারী জেনারেল, কুয়েত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি। সাবেক ডেপুটি সেক্রেটারী জেনারেল, আটাব, সেক্রেটারী ঢাকা জোন। মেম্বার ট্রাস্টি বোর্ড, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব চট্টগ্রাম।
সামাজিক সংগঠনের মধ্যে রয়েছেন-
সাধারণ সম্পাদক, বাঙ্গালি সংস্কৃতি মঞ্চ (জাতির জনকের আদর্শে উজ্জেবীত সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহের জোট)। সংস্কৃতিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন। সভাপতিমন্ডলী সদস্য (সাবেক সাধারণ সম্পাদক), খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটি। সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট, সহ-সভাপতি, স্বাধীনতা সাংস্কৃতিক পরিষদ। এছাড়াও তিনি চেয়ারম্যান এন্ড সিইও, এবি কোম্পানী লিমিটেড। চেয়ারম্যান, এবকো আইটি লিমিটেড। প্রোপ্রাইটর, আদিবা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল। সদস্য, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি, বেসিস, আটাব, টোয়াব, হাব. ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি।