তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনী আমেজে বিএনপির সমস্ত কর্মসূচি হাওয়ায় মিলে গেছে৷ আমি আশা করবো বিএনপি এই অপরাজনীতির পথ থেকে বের হয়ে আসবে৷
বিএনপি এখন আকাশ আর পশ্চিমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে৷ সেখান থেকে যদি কিছু হয়৷ আসলে এভাবে একটি দল টিকে থাকতে পারেনা৷
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি৷
মন্ত্রী বলেন, জনগণ এখন নির্বাচনমুখী হয়ে গেছে৷দেশের মানুষ যখন নির্বাচনমুখী তখনও তারা (বিএনপি) অনলাইনে বসে বসে উকি দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করছে৷ এতে কিছু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়া আর কিছুই হচ্ছেনা৷ তারা ফ্লাইওভারের ওপর থেকে বোমা নিক্ষেপ করছে, সারাদেশে যানবাহনে আগুন দিচ্ছে৷ একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি এমন কিভাবে হয়? এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি৷ পৃথিবীর কোথাও এমন রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই৷ আজ নাকি হরতাল! আগে হরতাল হলে আমরা দেখেছি রাস্তায় গাড়ি চলাচল করতো না, পিকেটিং হতো, আমরা নিজেরাও পিকেটিং করতাম৷ কিন্তু আজ যে হরতাল সেটা বোঝার উপায় নেই৷
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বিএনপির মূল নেতৃত্ব কার্যত বিএনপি নেতাদের কারাগারে বন্দি করে রেখেছে৷ কারণ বিএনপি করলে এখন কোনো নির্বাচন করা যায়না৷ সংসদ নির্বাচন করা যায়না, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করা যায়না, এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও করা যায়না৷ এ পরিস্থিতির কারণে অনেক নেতাকর্মীদের জন্য বিএনপি নামটাই তাদের কাছে কারাগার৷
সুতরাং, বিএনপি কার্যত বিএনপি নামক কারাগারে নেতাকর্মীদের বন্দি করে রেখেছে৷ যেখান থেকে বের হয়ে কেউ নির্বাচন করতে পারবেনা৷ আর তাদের সিদ্ধান্ত হয় সাত সমুদ্রর তেরোনদীর ওপার থেকে৷ তবে এখন অনেকেই বিএনপি নামক এই কারাগার থেকে বের হয়ে এসেছে৷ বিএনপির সাবেক অনেক সংসদ সদস্য, কেন্দ্রীয় নেতাকর্মী আজকেও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে৷ বিএনপির অনেক নেতাকর্মীদের সাথে বিমানবন্দরে, ট্রেনস্টেশনে, সামাজিক অনুষ্ঠানে আমাদের দেখা হয়৷ তাদের সবাই শিকার করে বিএনপির এসব সিদ্ধান্ত ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে৷ আজকে আবার হরতাল৷ হরতালে জনগণের কোনে সাড়া নেই৷ তারা নাকি আরও কর্মসূচি দিবে৷
তিনি বলেন, আজকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন৷ গত কয়েকদিন ধরে ব্যপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে সবাই মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছে৷ আমি নিজেও গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি৷ নির্বাচন ঘিরে দেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে৷ ৪৪ টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০ টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে৷
এছাড়া বহু অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে৷ এ নির্বাচন বর্জন করার জন্য বিএনপি আহ্বান জানিয়েছে৷ কিন্তু তাদের আহ্বানে তাদের শরিকরাই সাড়া দেয়নি৷ তাদের শরিকদের মধ্যে ছয়টি দল জেনারেল ইব্রাহিমের নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছে এবং মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছে৷
বাবু/এসআর