শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫
বিনা অনুমতিতে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে: তাপস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪, ৪:৩৭ PM
পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ-ওয়াসা এবং তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। 

তিনি জানান, এই দুটি সরকারি সংস্থা বিনা অনুমতিতে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে এবং তাদের বাধা দিলে চুরি করে রাস্তা নষ্ট করে। অনেক সময় ওপরওয়ালাদের কাছে নালিশ ও অপবাদ দেয় বলেও অভিযোগ করেন মেয়র।

শনিবার (৬ জুলাই) বিআইপি সম্মেলন কক্ষে ‘ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসন ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে খাল পুনরুদ্ধারের ভূমিকা’শীর্ষক এক সংলাপে এ কথা বলেন তিনি।

মেয়র বলেন, বর্ষাকালে রাস্তা খননের জন্য কোনো সংস্থাকে অনুমতি দেবে না জানিয়ে আগেই নোটিশ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। এরপর অনুমতি না পেয়ে চুরি করে ওয়াসা ও তিতাস রাস্তা খননের কাজ করছে।

তাপস বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে খালগুলোকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে পুনরুদ্ধার করার বিকল্প নেই। সরকারি-বেসরকারি ভূমি দস্যুদের আগ্রাসন যতদিন বন্ধ হবে না, ততদিন জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব নয়। এসব ভূমি দস্যুদের আগ্রাসন দূর করতে পারলে ঢাকা শহর জলাবদ্ধতা মুক্ত হবে। খাল দখলমুক্ত থাকবে।

এ সময় মেয়র বলেন, বংশালে নিকটবর্তী স্থান দিয়ে না করে, দূরবর্তী স্থান দিয়ে নিষ্কাষণ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে পানি প্রবাহ ধীর হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। আর বক্স কালভার্টের কারণে ধোলাইখাল পুরোপুরি দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না। তবে একটি অংশকে নান্দনিক পরিবেশ করার চেষ্টা চলছে।

মেয়র আরও বলেন, আদি বুড়িগঙ্গা দখলমুক্ত করা কঠিন কাজ ছিল। তবে আগামী ৫০ বছরেও আর কেউ দখল করতে পারবে না।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে দুই সিটি করপোরেশন বুঝে নেওয়ার চার বছর পার হলেও রাজধানীর জলাবদ্ধতার কোনো উন্নতি হয়নি। স্বল্প বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় বিভিন্ন স্থান।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত