আশুলিয়া থানাধীন বাইপাইল এলাকায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ওভারব্রিজে কাল সারারাত ধরে ঝুলছিল দুটি মরদেহ। আজ মঙ্গলবার সকালে মরদেহ দুটি নামানো হয়। মরদেহ দুটি পুলিশ সদস্যদের বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
এছাড়াও আশুলিয়া থানার সামনে একটি মরদেহ ও একটি পিকআপে তিনটি মরদেহ পড়েছিল। এই মরদেহ চারটি পুড়ে যাওয়ায় তাদের পরিচয় শনাক্ত না করা গেলেও পুলিশ সদস্যদের বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখনও সাভারের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পড়ে আছে অজ্ঞাতনামা অনেক মরদেহ।
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী জানান, গুলিবিদ্ধ ৬ জনের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এছাড়া আইসিইউতে ৭ জন মারা গেছে।
এছাড়া ৩০০ জনের বেশি গুলিবিদ্ধকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে হাসপাতালে। পরিচয়হীন একজনের লাশ এখনো পড়ে আছে। থানা পুড়িয়ে দেওয়ায় কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে জানান ইউসুফ আলী।
শিশু হাসপাতালের ব্যবস্থাপক হারুন অর রশীদ জানান, নিহত তিনজনের মধ্যে দুজনের মরদেহ স্বজনরা নিয়ে গেলেও, গতকাল দুপুর থেকে অজ্ঞাতনামা একজনের মরদেহ হাসপাতালে পড়ে আছে। অর্ধশতাধিক গুলিবিদ্ধকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, ১০ জনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক হাসপাতালে আনা হয়েছিল। একজনের পরিচয় না মেলায় মরদেহটি এখনো হাসপাতালে পড়ে আছে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালটিতে ৭২ জন গুলিবিদ্ধ চিকিৎসা নিচ্ছেন। দুইদিনে অন্তত দেড় শতাধিক গুলিবিদ্ধকে চিকিৎসা দিয়েছে হাসপাতালটি। আশুলিয়ার হাবিব ক্লিনিকে দুই জনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ আনা হয়েছিল বলে জানিয়েছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।