সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ছাত্রজীবনে তিনি রাবির সহ-সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন।
গতকাল শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বিনোদপুর এলাকায় ছাত্রজনতা তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় নিয়ে আসা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের তত্বাবধানে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসুদ মারা যান।
নিহত ছাত্রলীগ আব্দুল্লাহ আল মাসুদের উপর ২০১৪ সালে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে তার একটি পা কেটে নেয়। হাত পায়ের রগও কেটে দেয়। এরপর থেকে তিনি পঙ্গু জীবন-যাপন করছিলেন। কৃত্রিম পা লাগিয়ে চলাফেরা করতেন।
মৃত্যুর মাত্র চার দিন আগে, গত ৩ সেপ্টেম্বর মাসুদ একটি কন্যাসন্তানের জনক হন। তাকে হত্যার ১২ ঘণ্টা আগে মাসুদ মেয়ের ছবি ফেসবুকে দিয়ে সবার দোয়া চান। এর ১২ ঘণ্টা পর তাকে হত্যা করা হয়।
নিহত মাসুদের বন্ধু ও স্বজনরা জানান, প্রসূতি স্ত্রী ও নবজাতকের জন্য ওষুধ কিনতে মাসুদ শনিবার রাতে বিনোদপুর বাজারে আসেন। তখনই তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ বলেন, রাতেই তাকে থানায় আনা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নামে স্লোগান দিয়ে মাসুদকে গণপিটুনি দেয়া হয়। পরে সেনাবাহিনী ডেকে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত ১২টার দিকে তিনি মারা যান।