ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা ফিনান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মিথুন বৈরাগীকে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিভাগটির প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৃহষ্পতিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে নয় জন শিক্ষকের নাম ও ছবিসহ একটি তালিকার ব্যানার দেখা যায়।
এতে লেখা ছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার সাথে জড়িত, জুলাইয়ের গণহত্যার সমর্থনকারী এবং আওয়ামীলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের একাংশ যাদেরকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও তাদেরকে ক্লাস থেকে বয়কট করা হলো।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মিথুন বৈরাগীর নাম ও ছবি প্রকাশ করা হয়।এঘটনার প্রতিবাদে বিকেল সাড়ে তিন ঘটিকার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে এসে এক প্রতিবাদ সমাবেশ রূপ নেয়।
সমাবেশ বক্তরা বলেন, আমাদের স্যার সবসময় আমাদের পাশে ছিলেন। তার নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার প্রতিবাদ জানায়। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে বিচার করা হোক।
এদিকে ব্যানারে থাকা আরও দুই শিক্ষকের নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মো. সাজ্জাদ হোসেন জাহিদ ও কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষক তন্ময় সাহা জয়।
এঘটনার প্রতিবাদে সকালে সর্বপ্রথম ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ব্যানারে থাকা ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকের নাম ও ছবি মুছে ফেলেন। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন।
অপরদিকে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান উল্লেখ করে শিক্ষকদের নামে বানানো ব্যানার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। দুপুর ২টার দিকে ক্যাম্পাসে টানানো সকল ব্যানার সরিয়ে ফেলে প্রতিবাদ জানান সমন্বয়ক পরিষদ।
উল্লেখ্য, ব্যানারে নয় শিক্ষকের নাম লেখা হয়। তারা হলেন, ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন, সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল, সহকারী প্রক্টর মিঠুন বৈরাগী, খালেদা জিয়া হলের সাবেক প্রভোস্ট ড. ইয়াসমিন আরা সাথী, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মো: শহিদুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের মো: সাজ্জাদ হোসাইন জাহিদ এবং কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের তন্ময় সাহা জয়।