পটুয়াখালীর দশমিনায় (প্রাক্তন পুলিশ সদস্য) বহরমপুর ইউনিয়ন উত্তর আদমপুরার মরহুম ফিরোজ আলম রাড়ীর কন্যা মৌসুমী আক্তার হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে নিহতের স্বজন ও এলাকা বাসীরা।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের মোল্লারহাট বাজারে সড়কে দাঁড়িয়ে অবস্থান নেয় ওই গ্রামের শতাধিক মানুষ। এ সময় ওই গৃহবধূর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের মানববন্ধনে করেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় পরিবেশ সূত্রে জানা যায়, নিহত মৌসুমী আক্তার উপজেলা বহরমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগের দ্বিতীয় স্ত্রী।
মানববন্ধনে মনিরুজ্জামান বিপ্লব রাড়ি বলেন, আমার এই বোনকে আমার চাচাতো ভাইয়ের কাছে বিবাহ দেই ওই ঘরে দুই ছেলে ও ১ মেয়ে আছে তাদেরকে মেরে ফালানোর ভয় ভিতে দেখিয়ে আমার বোনকে চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগ বিবাহ করে, আসাদুজ্জামান সোহাগ প্রায় সময় মাদক সেবন করে তার এই স্ত্রী মৌসুমীকে মারধর করতেন বলে।
আরো বলেন,চেয়ারম্যানের চাচা আবদুল আজিজ বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তাই তাদেরে পরিবারের ক্ষমতার কাছে আমরা দুর্বল।
মানববন্ধনে নিহত মৌসুমী আক্তার দুলুর পরিবার ও স্থানীয়রা দাবি করেছেন, চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগ ও তার পরিবারের কিছু সদস্যরা মিলে মৌসুমী আক্তার দুলুর হত্যা করেছেন,নিহতর পরিবার ও এলাকা বাসির দাবি তদন্ত করে সঠিক বিচার করা হোক।
জানা যায়,রবিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা সদর ইউনিয়নের নলখোলা বন্দর এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে মৌসুমী আক্তারের ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন তার স্বামী।
পরে সোমবার পটুয়াখালী বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে নিহতর ভাই মনিরুজ্জামান বিপ্লব রাড়ি ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। তাতে প্রধান আসামি করা হয় নিহত স্বামী আসাদুজ্জামান সোহাগ(৩২),মোঃ দিপু মৃধা (৩০),রবিউল ইসলাম (৩২),কামরুল ইসলাম (৩৮),জসিম মৃধা (৪০),মোঃ রাকিব হোসেন (২৬)।