বাংলাদেশ সহ বিশ্ব শ্রমবাজারে দক্ষ নারী শ্রমিক সংখ্যা বৃদ্ধি ও দক্ষ নারী শ্রমিকদেও প্রতিযোগিতামুলক বিশ্ব শ্রমবাজারে অংশ গ্রহনের উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বরিশাল মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্র (মহিলা টিটিসি)।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো’র আওতায় প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে। বরিশাল নগরীর সিএন্ডবি রোড এলাকায় ২০১৬ সাল থেকে একাধিক প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দক্ষতা সম্পন্ন নারী শ্রমিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। বরিশাল অঞ্চলের শ্রমজীবি নারীরা এই প্রশিক্ষনের আওতায় প্রশিক্ষন গ্রহন করছেন। ইতিমধ্যে সেখান থেকে প্রশিক্ষন পেয়ে একাধিক নারী শ্রমিক বিশ্ব শ্রমবাজারে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।
বিশ্ব শ্রম বাজারে নারী শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ও শক্তিশালী সুরক্ষা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছে এই প্রতিষ্ঠানটির প্রশিক্ষকরা। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) - প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আওতাধীন প্রশিক্ষনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অদক্ষ নারী শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার অপারেশন, গার্মেন্টস (ইন্ডাট্রিয়াল ড্রেস মেকিং এন্ড এমব্রয়ডারী), প্যাটার্ণ মেকিং, মার্কার মেকিং, ডিজাইন ব্লক বাটিক, ডাইং প্রিন্টিং, ফুট এন্ড ফুড প্রসেসিং, প্রিজারভেশন, আর্কিটেকচারাল ড্রাফটিং, উইথ অটোক্যাড, কনজুমার ইলেকট্রনিক্স, হাউজ কিপিং ট্রেডে দক্ষ করে গড়ে তোলা।
এছাড়াও, মহিলা টিটিসি’র জব প্লেসমেন্ট অফিসার শাহজামান শামীম বলেন, এসইআইপি ফান্ডে সহয়তায় বিভিন্ন প্রশিক্ষন হয়ে থাকে এসএসসি এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তির উপযোগী করে গড়ে তোলা, বিদেশগামী কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান গুলোতে দক্ষ নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে থাকে মহিলা টিটিসি।
সেখানে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত নারী শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, ‘আমরা এই প্রশিক্ষনের মাধ্যমে প্রবাসে গিয়ে অনেক উপকৃত হয়েছি। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের কোন প্রকার ধারনাই ছিল না। প্রশিক্ষন নিয়ে বিদেশে গিয়ে চাকরীক্ষেত্রে বা কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনে কোন প্রকার সমস্যা হয়নি। বর্তমান সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’
এ প্রসঙ্গে মহিলা টিটিসি’র অধ্যক্ষ আহমেদ আল ইমরান বলেন, দক্ষতা উন্নয়ন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, নিরাপদ অভিবাসন ও রেমিটেন্স এর প্রবাহ বৃদ্ধি, বেকারত্ব হ্রাস ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভুমিকা রাখাই আমাদের মুল লক্ষ্য।