সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখেই আজকের উন্নত বাংলাদেশ। রোববার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শেখ হাসিনায় আস্থা’ শীর্ষক চিকিৎসক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে থাকবে। ১৯৯১ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি আগামী নির্বাচনে সবাইকে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানান।
ওই সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবাইকে ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে। সবাই মিলে ভোট কেন্দ্রে গেলেই ভোটবিরোধী ও দেশবিরোধীরা ১% এ পরিণত হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি তথা শেখ হাসিনা হবেন ৯৯ শতাংশ।
ওই সময় তিনি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিনামূল্যে সরবরাহ থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক হাসপাতাল নির্মাণসহ প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসাক্ষেত্রে অবদানের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় চিকিৎসক সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামূল হক ভূইয়া, সম্প্রীতি বাংলাদেশের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. উত্তম বড়ূয়া, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রেজাউল আমিন টিটু, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. রাহাত হোসেন, প্রামাণ্যচলচ্চিত্র নির্মাতা, সাইফ আহম্মেদ, বঙ্গবন্ধু গবেষক আফিজুর রহমান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ডা. অনুপম সাহা প্রমুখ।
স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে মাঠ পর্যায়ের দায়িত্ব সবাইকে স্বচ্ছতার সঙ্গে পালন করতে হবে। সরকার ক্ষমতায় থেকেও যে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে সেটি এবার প্রমাণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে যেকোনো মূল্যে আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে একটি সরকার তার দায়িত্বে থেকে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে।’
আজ রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক্সিকিউটিভ (নির্বাহী) ম্যাজিস্ট্রেটদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অতিরিক্ত ২ হাজার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে নিয়োজিত থাকবেন।
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে ভোটের দিন, ভোটের আগে আচরণ বিধি প্রতিপালনে কিছু অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা হয়। যেমন সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে দেয়া, কেন্দ্র দখল হয়ে যাওয়ার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। এতে ভোটাররা নির্বাচন বিমূখ হন। কাজেই কোনো অবাঞ্চিত লোককে কেন্দ্রে ঢুকতে দেবেন না।’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে আস্থা, বিশ্বাস গড়ে তুলবে হবে, তাদের বুঝাতে হবে যে, নির্বাচনের পরিবেশ আছে, আপনারা নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।’
গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকরা অবাধে প্রবেশ করতে পারবেন উল্লেখ করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘গণমাধ্যম কর্মীরা স্বাধীনভাবে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে অবাধে বিচরণ ও প্রচার করতে পারবেন। জনগণ যদি গণমাধ্যমে দেখে ভেতরে পরিবেশ সুন্দর আছে, ভোট স্বচ্ছ হচ্ছে তাহলে নির্বাচন সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি জানান, ‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও ৮ লাখ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য— মোট ১৬ লাখ মানুষ এবার ভোটের কাজে নিয়োজিত থাকবে।’জাতিসংঘের সদস্য হওয়ায় এই নির্বাচন কার্যক্রম ইন্টারন্যাশনালি ডাইমেনশন পেয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন।