ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ফি সমন্বয়ের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার ফি সমন্বয় নিয়ে লুকোচুরির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
পরে মানববন্ধন শেষে স্বারকলিপি প্রদান করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বরত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো- সমন্বয়ের ঘোষণা দেওয়া ফি সমূহ অবশ্যই সমন্বয় করতে হবে, ইতোমধ্যে যারা অতিরিক্ত ফি জমা দিয়েছে তাদের টাকা মাস্টার্সে সমন্বয় করতে হবে এবং বিভিন্ন ফি দেওয়ার পরেও একাডেমিক শাখার খাতায় না তোলার বিষয় সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীবৃন্দ৷ ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রশাসন শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে অযাচিত বর্ধিত ফি ২০ শতাংশ কমানোর ঘোষনা দেন ও যারা ইতোপূর্বে ফি জমা দিয়েছিলো, তাদের ফি পরবর্তী সেমিস্টারে সমন্বয় করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন৷
সেই ঘোষণার পর থেকে উক্ত দুই সেশনের শিক্ষার্থীরা সমন্বয় করে ফি জমা দিয়ে আসছে৷ কিন্তু প্রশাসনে রদবদল হওয়ায় পূর্বের প্রজ্ঞাপনের তোয়াক্কা না করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস পূর্ণাঙ্গ ফি প্রদান পূর্বক সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য কাগজপত্র উত্তোলন করার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেন। অন্যথায় সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন। যা উক্ত দুই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণার সামিল বলে স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়৷
এ বিষয়ে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষিত ফি কেন সমন্বয় হচ্ছে না সে ব্যপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করছি৷
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বরত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সবার সাথে আলোচনা সাপেক্ষে বিষয়টির সমাধান করা হবে।