ছাত্রজনতার অভ্যূত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে হত্যাযজ্ঞের সাথে জড়িত খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে নতুন প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় আয়োজিত এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। উদ্বোধনের পর তিনি গণস্বাক্ষর খাতায় স্বাক্ষর করে এ উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানান।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, “জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলন আমাদের জাতীয় ইতিহাসে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। দেশের নানা প্রান্তের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে গণঅভ্যূত্থান ঘটিয়েছেন। সেই আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছেন তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি। সরকার ইতোমধ্যেই আহতদের সহায়তায় নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা চাই, ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা যেন অব্যাহত থাকে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “যে ঐক্য ও ত্যাগের মাধ্যমে এই নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথ তৈরি হয়েছে, সেটিকে ধরে রেখে আমরা বৈষম্যহীন সুন্দর সমাজ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারও এ আন্দোলনের অংশীদার। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক সহায়তা, ভর্তি ফি মওকুফ এবং কোটার মতো সুবিধা আমরা নিশ্চিত করেছি।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. ইমদাদুল হুদা, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, আইন অনুষদের ডিন মুহাম্মদ ইরফান আজিজ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান, প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম, বাংলা বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মো. হাবিব-উল-মাওলা (মাওলা প্রিন্স), অগ্নি-বীণা হলের প্রভোস্ট মো. হারুনুর রশিদ, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. অলি উল্লাহসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানের বার্ষিকী উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক ও কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. ইমদাদুল হুদা অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কমিটির সদস্য-সচিব ও লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. অলি উল্লাহ।
গণস্বাক্ষর কর্মসূচিটি চলবে আগামী ১ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত, যাতে শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সব সদস্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিতে পারেন।