রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় রিমা আক্তার (২১) নামে এক সন্তানের জননীকে মারপিট করে হত্যার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই গৃহবধূর স্বামীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার পর গৃহবধূর স্বামীর পরিবারের লোকজন সকলেই পলাতক রয়েছে। সোমবার (৪ মার্চ) দুপুর ২টার সময় গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেন।
এলাকা বাসী সূত্রে জানা যায়, ৪ বছর আগে সম্পর্ক করে বিয়ে করেন বড়বিল ইউনিয়নের মিয়া পাড়া গ্রামের রশিদুল ইসলামের কন্যা রিমার সাথে গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নে চেংমারি মধ্যেপাড়া গ্রামের সামসুল ইসলামের ছেলে আনোয়ারুল ইসলামের । বিয়ের পর তাদের মধ্যে মনোমালিন্য ও ঝগড়া লেগেই থাকতো। মাঝে-মধ্যেই মারপিট ও নির্যাতন করতেন বলে জানা যায়।
এর জের ধরে সোমবার স্বামী আনোয়ারুল তার স্ত্রী রিমাকে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা হত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়া চেষ্টা করেন।
মৃত গৃহবধূর মামা সাহেদুল ইসলাম বলেন, আমার ভাগনিকে মেরে ফেলে শুয়ে রাখছে ,গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে আমাদের কাছে আনোয়ারুল ফোন দিয়েছেন। আমরা এসে লাশ বিছানায় শুয়ে রাখতে দেখেছি।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাছুমুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর পরিবারের লোকজন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি আরও জানান ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।