নলছিটিতে হত্যা মামলার এক আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিজেকে ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়দানকারী ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি দাবি করা আবু মুছা সরদারের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর নলছিটি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আখতার হোসেন সরমহল গ্রামের হত্যা মামলার পলাতক আসামি মো. আল-আমিন সরদারকে মানপাশা বাজার এলাকা থেকে আটক করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তার বড় ভাই আবু মুছা সরদার। তিনি নিজেকে জুলাই যোদ্ধা ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি পরিচয় দিয়ে পুলিশকে চাপ দিতে থাকেন আল-আমিনকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য।
একপর্যায়ে আবু মুছার নেতৃত্বে উপস্থিত কয়েকজন ব্যক্তি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান এবং সেই সুযোগে আলআমিনকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ধস্তাধস্তিতে আহত হন এসআই আখতার হোসেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আসামিদের ফেলে যাওয়া একটি মাইক্রোবাস জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নলছিটি থানা পুলিশ আরো জানায়, অভিযুক্ত আবু মুছা সরদার ও পলাতক আল-আমিন সরদার সরমহল গ্রামের একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। তাদের বাবা ইছহাক সরদার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক ওয়ার্ড সভাপতি এবং বর্তমানে ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক। অপর ভাই মো. ইমরান সরদার ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মো. ঈসা সরদার ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি।
রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়েই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নলছিটি থানা পুলিশ।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, পুলিশের ওপর হামলা এবং আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।