শুক্রবার ৪ জুলাই ২০২৫ ২০ আষাঢ় ১৪৩২
শুক্রবার ৪ জুলাই ২০২৫
নতুন প্রজন্মকে ফেরাতে হবে
এ কে এম শাহনাওয়াজ
প্রকাশ: রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪, ১২:০৭ PM
স্বাধীনতা দিবসে কালের কণ্ঠে ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ একটি খবর ছাপা হয়েছে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের অনুষ্ঠানে উঠে আসা একটি বক্তব্য নিয়ে করা হয়েছে খবরটি। বক্তারা একটি প্রয়োজনীয় বিষয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। আশঙ্কার সঙ্গে বলেছেন, যেভাবে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে, তাতে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আরো মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।

কঠিন বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়েই তাঁরা এমন আশঙ্কার কথা উচ্চারণ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ ৫৩ বছর পার করছে। ইতিহাসের কাল বিচারে এটি খুব বড় সময় নয়। সচেতন এবং জ্ঞানচর্চা সংশ্লিষ্ট দেশের সাধারণ নাগরিক ও নীতিনির্ধারকরা বিশ্বাস করেন, প্রজন্মের ইতিহাস বিস্মৃতি সামনে এগিয়ে চলার পথ বন্ধুর করে দেয়।

তাই হাজার বছরের বিশ্বসভ্যতার ইতিহাস ও নিজ দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য পাঠ্য তালিকা বিচ্ছিন্ন করে না। এখনো উন্নত ও ইতিহাস সচেতন দেশের কারিকুলামে বিজ্ঞান, প্রকৌশলবিদ্যা, চিকিৎসাবিদ্যার শিক্ষার্থীদেরও আবশ্যিক পাঠ্য তালিকায় এই দুটি বিষয় থাকে। আর আমাদের দেশে মুক্তিযুদ্ধের মতো অহংকার থাকার পরও মাত্র পাঁচটি দশক পার না হতেই মুক্তিযুদ্ধ বিস্মৃত হয়ে পড়ছে মুক্তিযুদ্ধোত্তর প্রজন্ম। সেই সুযোগটি নিতে চাইছে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি।

এই ব্যর্থতা আমাদের সবার—রাষ্ট্রের, মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের, সংস্কৃতিকর্মীদের এবং সাধারণ নাগরিকদের। আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতার কারণে ২০২৪-এর ২৬ মার্চ বিএনপি নেতারা ক্যামেরার সামনে এসে নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের দল বলছে, আওয়ামী লীগকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারী বলছে। আরো যা যা বক্তব্য টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গেছে, তাতে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানা সাধারণ সচেতন মানুষ মহাবিস্ময় নিয়ে কৌতুকের আনন্দ লাভ করেছেন আর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিচ্ছিন্ন প্রজন্মের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও পাকিস্তানপন্থিদেরই মুক্তিযুদ্ধের ধারক-বাহক ভাবছে। এ অবস্থা ঐতিহ্য ও চেতনা বিচ্ছিন্ন একটি জাতি তৈরি করার দিকেই যেন এগিয়ে নিচ্ছে দেশটিকে।

নতুন প্রজন্মকে ফেরাতে হবেকিন্তু এমন অন্ধকার বিদূরিত করতে যার যার অবস্থান থেকে আমরা কী দায়িত্ব পালন করছি, নাকি বিশেষ দিনগুলোতে পত্রিকার শিরোনাম হওয়ার মতো বক্তব্য দিয়ে নিজেদের দায়মুক্ত মনে করছি? নিজের শক্তি-সামর্থ্য আর মেধায় কোনো পক্ষ যখন অভীষ্টে পৌঁছতে পারে না বা প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে হেরে যেতে থাকে, তখন হতাশা গ্রাস করে।

এমন অবস্থায় আমাদের ক্ষমতার রাজনীতির কুশীলবরা নানা অন্ধকার পথ হাতড়ে টিকে থাকতে চান। এর একটি হচ্ছে ইতিহাসের বুকে ছুরি চালিয়ে সত্যকে মিথ্যার পোশাকে জড়িয়ে নিজের অনুকূলে নিয়ে আসতে চাওয়া। এমন অপকাণ্ড দেখে আমরা হায় হায় করে উঠি আর বলি, অমুক দল, অমুক গোষ্ঠী ইতিহাস বিকৃত করে ফেলল। আসলে ইতিহাস বিকৃত করার কোনো বস্তু নয়। ইতিহাসের ঘটনাপ্রবাহ যুগ থেকে যুগান্তরে প্রবহমান থাকে। যতই আড়াল করার চেষ্টা থাক না কেন, ইতিহাসের সত্য নির্মমভাবে অথবা গর্বিত ভঙ্গিতে নিজেকে প্রকাশ করেই। ইতিহাসের বিকৃতি নয়, বলা ভালো—কোনো অশুভ তৎপর গোষ্ঠী সমকালের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ইতিহাসের সত্য আড়াল রেখে বানোয়াট কাহিনি তৈরি করে তা ইতিহাস বলে চালাতে চায়। এমন বিভ্রান্ত মূর্খদের ক্ষেত্রে বলতে হয়, ইতিহাসের সত্যকে শেষ পর্যন্ত অন্তরালে রাখা যায় না। সময়ের ডাকে একসময় ইতিহাসের সত্য অন্ধকার তাড়িয়ে আলোকোজ্জ্বল অবয়ব নিয়ে দাঁড়াবেই। তখন এসব হতাশ ও বিভ্রান্ত দলগুলোর নেতা-নেত্রীরা মুখ লুকানোর জায়গা খুঁজে পাবেন না।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এক অমিত তেজ আছে। এই চৈতন্যের দীপশিখা জাগরূক থাকলে তাতে আলোকিত হবে চারদিক। আর আলো থাকলে অন্ধকার যে পালাবে এ তো চিরসত্য। তাই অন্ধকারের জীবরা আলোকে ভয় পাবেই। মুক্তিযুদ্ধের সাইনবোর্ড বয়ে বেড়ায় যারা আর মুক্তিযুদ্ধের তথাকথিত ঘোষক হয়ে যারা সাধারণ মানুষের চোখে অঞ্জন পরাতে চায়—উভয় পক্ষেই বাদুড়ে স্বভাবের অন্ধকারের জীব আছে। দিনে দিনে যে চেহারা উন্মোচিত হচ্ছে, তাতে এদের আর সাধারণ বাদুড় বলা যাচ্ছে না; রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ার বলাই যথার্থ।

ক্ষমতায় থেকে এরা কেউই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আপন গতিতে এগিয়ে যেতে দেয়নি। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির দাবিদার আওয়ামী লীগ সরকারের অতীত আমলগুলোতে মুক্ত বিহঙ্গের মতো ইতিহাস তার আপন গতিতে এগোবে—এটাই প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু বাস্তবে কি তা ঘটেছে? মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে থাকা আওয়ামী লীগের বিরোধীপক্ষ হিসেবে রাজনীতিতে আবির্ভূত বিএনপি বিকৃত পথে মুক্তিযুদ্ধের অধিকারে ভাগ বসাতে চাইবে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আর জামায়াত সংশ্লিষ্টতার পর এরা নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলিয়ে দিতে চাইবে, এটাই স্বাভাবিক।

আওয়ামী লীগের এ যুগের নেতারা যদি ভাবতে পারতেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করা আমাদের প্রথম মহৎ দায়িত্ব, তাহলে তাঁরা নিয়মতান্ত্রিক পথেই শক্তিমান থাকতে পারতেন। মুক্তিযুদ্ধের ত্যাগ ও গৌরবই প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষ থেকে তাঁদের ব্যবধানে এগিয়ে রাখত। কিন্তু তাঁরা তা সেভাবে ভাবতে পারেননি। পঁচাত্তরের নির্মম পটপরিবর্তনের পর অনেকটা দিশাহারা-বিভ্রান্ত ছিলেন তাঁরা। হারানো ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার জন্য স্থূল পথকে অবলম্বন করতে চেয়েছিলেন। এক পর্যায়ে বিএনপি-ভীতি পেয়ে বসেছিল। 

বিএনপি যখন গায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে মুক্তিযুদ্ধের পারফিউম মাখতে শুরু করল, তখনো আওয়ামী লীগ রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা করে মানুষের কাছে নিজের গৌরবের অবস্থানকে আরো শক্তভাবে ধরে রাখার কথা ভাবতে পারেনি। বিএনপি জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধের কাণ্ডারি বলে প্রচার করতে শুরু করলে দুর্বলচিত্ত আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব তাতে ভীত হয়ে পড়েছিল। তাই বঙ্গবন্ধুকে অসম প্রতিযোগিতায় জিয়াউর রহমানের পাশে টেনে এনে যেন যুদ্ধে নেমে পড়ে। একজন মহান বিশাল মানুষকে টেনে নামায় অনেক নিচে। এতে নতুন প্রজন্মের বিভ্রান্তির কারণ ঘটে, মনে প্রশ্ন জাগে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে কে বড় জিয়াউর রহমান, না বঙ্গবন্ধু? এমন হাস্যকর ও অপরিণামদর্শী খেলাটা কিন্তু শুরু হলো বিভ্রান্ত আওয়ামী শিবির থেকে।

বিএনপির হাতে পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃতির পথ তৈরি করে দিল আওয়ামী লীগ ১৯৯৬-এ তাদের শাসন পর্বে, স্কুলপাঠ্য পুস্তকে তথাকথিত সংস্কার আনতে গিয়ে। এরপর প্রতিশোধের পালা। ২০০১-এ ক্ষমতায় এসেই বিএনপির কমিটি নাঙ্গা তলোয়ার নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল ইতিহাস বইটির ওপর। আবার মুদ্রণ হলো (২০০৩)। এবার যতটা সম্ভব মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে খাটো করার চেষ্টা নেওয়া হলো। বঙ্গবন্ধুর গ্রেপ্তার এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বহীনতায় ২৫ মার্চের পর বাঙালি হতাশ হয়ে পড়েছিল—এমন কথা বলতেও ছাড়ল না। আর এই হতাশ জাতিকে নতুন আশা আর আশ্বাস দিয়ে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করলেন—এমন ইতিহাসও তৈরি হয়ে গেল। বিএনপি আমলের প্রথম প্রকাশিত বইতে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণার তারিখ ২৭ মার্চ মুদ্রিত হলেও এবার প্রতিযোগিতার কানামাছি খেলায় জেতার জন্য তারিখ এক দিন এগিয়ে ২৬ মার্চ হলো। এভাবেই আওয়ামী-বিএনপি প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান বিশেষ ধরনের স্বাধীনতার ঘোষক হয়ে গেলেন। ইতিহাসকে এই বিভ্রান্তি থেকে বের করে আনার জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দাবিদার ক্ষমতাবানরা তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি।

সংকট কি কম! আওয়ামী লীগ সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। একটি বড় অর্থ বরাদ্দ রাখা হয় দেশের নানা গণগ্রন্থাগার ও শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বই কেনা প্রকল্পে। প্রকাশনাশিল্পের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও প্রণোদনা পাওয়ায় আনন্দিত হয়েছিলেন। কিন্তু অচিরেই এই বই কেনা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে সিন্ডিকেটের হাতে। বাজারে ভালো বই থাকার পরও সরকার ঘনিষ্ঠ ক্ষমতাবান লেখক, প্রকাশক, রাজনীতিক ও আমলাদের হাতে চলে যায় বরাদ্দের বেশির ভাগ অর্থ। তদবির ও ম্যানেজ করতে না পারা দেশের প্রথম শ্রেণির অনেক প্রকাশকের গুরুত্বপূর্ণ অনেক বই সরকারি ক্রয়ের বাইরে থেকে যায়। বর্তমান প্রজন্মের হাতে তুলে দেওয়ার মতো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসসংবলিত অনেক ভালো বই ক্রয় কমিটির নজর এড়ায়। এই সুযোগগুলো গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি। ইতিহাস বিচ্ছিন্ন করার সযত্ন প্রয়াস চালায় তারা।

দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য আর সভ্যতা না জানলে দেশপ্রেম জন্ম নেয় না। এত দিন দেশের প্রতি মমত্ববোধহীন দো-আঁশলা ছিল ইংরেজি মাধ্যমে পড়া ছেলেমেয়েরা। সঠিক জ্ঞানচর্চার অভাবে এখন সাধারণ ধারার ছেলেমেয়েদের বেশির ভাগের দশা একই রকম হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একটি বড় রকমের স্বার্থপরতা নিজেদের অজান্তেই মনে জায়গা করে নিচ্ছে। সম্প্রতি স্কুল শিক্ষার নতুন কারিকুলাম তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণিতে চলমান অনেক বই বাদ দিয়ে নতুন পাঠ্য বিষয় নির্ধারিত হয়েছে। এর অনেক বিষয় কেন পাঠ্য হলো, তা নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বিস্ময়ের বিষয় বিজ্ঞানমনস্ক করতে গিয়ে নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ইতিহাস পড়ানো ভয়ংকরভাবে কমিয়ে ফেলা হয়েছে। কিছুদিন আগে কলকাতার এক শিক্ষক-লেখক বন্ধুর সঙ্গে কথা হলো টেলিফোনে। তাঁকে এই সিদ্ধান্তটি বিশ্বাস করাতে পারলাম না। বললেন, তা আবার হয় নাকি! ইতিহাস তো সভ্য বিশ্ব সবার জন্য আবশ্যিক পাঠ্য বিষয় করে থাকে। ইতিহাসচর্চা ছাড়া জ্ঞানকাণ্ডের শাখা-প্রশাখা ছড়াবে কেমন করে! দেশাত্মবোধ তৈরি হবে কিভাবে!

তাই মনে হয় প্রজন্মকে ইতিহাস-ঐতিহ্য বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে অনেকেই হয়তো জড়িয়ে আছে। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা বক্তৃতায় যা বলি, কার্যক্ষেত্রে অনেক সময় তা করি না। নতুন প্রজন্মকে যদি মুক্তিযুদ্ধ চেনাতে চাই, তবে দেশের হাজার বছরের ইতিহাস জানাতে হবে। তাৎক্ষণিক পটভূমি হিসেবে ভাষা আন্দোলনের ঐতিহ্যের সঙ্গে তো পরিচিত করাতেই হবে। ভাষা আন্দোলনের চেতনা ধারণ করা একটি শক্তিশালী অনুষঙ্গ প্রভাতফেরি। যুগ যুগ ধরে প্রভাতফেরি প্রজন্মকে ভাষা আন্দোলনের ঐতিহ্যের কাছে নিয়ে যায়। আশির দশকে এক সামরিক সরকার নিজের সুবিধার জন্য প্রভাতফেরির বদলে মধ্যরাতে একুশে তর্পণ শুরু করে। আর তা অনুসরণ করে চলেছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দল ও সরকার। নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে আর কী লাগে! আমাদের সংস্কৃতির ধারক-বাহক সংগঠন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে, এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। আমাদের মনে হয়, বর্তমান প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংশ্লিষ্ট করার জন্য সবাইকেই আত্মচৈতন্যে ফিরতে হবে।

লেখক : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত