দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোষণায় সরব হয়ে উঠছেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে ১৫২ উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঘোড়াঘাট উপজেলা একটি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সবচেয়ে বেশি সরব ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। যদিও এবারের উপজেলা নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে না, তারপরও নেতাদের সমর্থন পেতে দৌঁড়-ঝাঁপ করছেন অনেকেই। প্রচার-প্রচারণাও শুরু করেছেন। ফলে সরগরম হয়ে উঠেছে পৌর এলাকাসহ উপজেলার গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজার সর্বত্র।
নির্বাচনে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম শোনা যাচ্ছে।বিএনপি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না নিশ্চিত না হলেও দলটির নেতারা মাঠ পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি বুঝে তারা ব্যবস্থা নেবেন। তবে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। তারা আগাম প্রচার-প্রচারণায় নেমেছেন।
বর্তমানে সম্ভাব্য ৫ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনই আওয়ামী লীগের, বিএনপির একজন এবং অপরজন জাতীয় পার্টির। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জনের নাম শুনা যাচ্ছে। অনেকের মতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় বাধা-নিষেধ না থাকায় এতে দলীয় কোন্দল বাড়বে। ভোটের সময় দলের নেতাকর্মীর মধ্যেই মনোমালিন্য সৃষ্টি হবে।
এদিকে আওয়ামী লীগের ৩ জন প্রার্থী হচ্ছেন, বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি আব্দুর রাফে খদকার শাহানসা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শুভ রহমান চৌধুরী এবং সাবেক জেলা পরিষদরের সদস্য এডভোকেট রবিউল ইসলাম ২'জনই উপজেলা আওয়ামিলীগের সদস্য, বিএনপি থেকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মোঃ শামীম হাসেন চৌধুরী এবং উপজেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি আরিফুজ্জামান রানা।
আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল। তাই সেখানে একাধিক প্রার্থী থাকাটাই স্বাভাবিক বলে মনে করছেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাঃ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা। তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার দলীয় প্রতীক নেই। তাই প্রার্থী হতে কাউকে নিষেধ করা হবে না এবং কারও পক্ষ নেবার সুযোগ নেই। ভোটাররা যোগ্য প্রার্থীকেই নির্বাচিত করবেন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহ মোঃ শামীম হাসেন চৌধুরী বলেন, এই নির্বাচনে এখন পর্যন্ত নিজেদের দলীয় কোনো প্রার্থী থাকার সম্ভাবনা নেই। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সিন্ধান্ত নিয়েছি। তারপরও দলের হয়ে একটি উপজেলার প্রতিনিধিত্ব করছি। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাবোনা। দল যদি না চায় তবে প্রার্থী হবোনা। কিংবা দলের কেউ এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হবে না বলে জানিয়েছেন।
এদিকে উপজেলার ১ টি পৌরসভা ও উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের হাটবাজার এবং গ্রামে গ্রামে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। অনেকেই নিজ এলাকা ছাড়াও অন্য এলাকার মসজিদে নামাজ আদায় এবং অন্যান্য ধর্মের আচার-অনুষ্ঠান গিয়ে দোয়া চেয়েছেন। তাই আস্তে আস্তে প্রার্থীদের পদচারণায় এখন মুখর হয়ে উঠেছে নির্বাচনী এলাকার মাঠঘাট।