চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অসীম জাওয়াদ নামে এক পাইলট নিহত হয়েছে। তার বাড়ী মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম দাসড়া গ্রামে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহত পাইলটের মামা মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি সুরুজ খান।
সুরুয খান জানান, অসিম জাওয়াদ খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল । সে পরিবারের একমাত্র সন্তান । তার মৃত্যুর খবরে আমার বোন নিলুফা এখন পাগল প্রায়। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অসিমর লাশ দেখতে তার স্ত্রী ও ২ সন্তান বর্তমানে চট্রগামে রয়েছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) পাইলট জাওয়াদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমান বাহিনীর ইয়াক-১৩০ নামক একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে। পরে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের অদূরে কর্ণফুলী নদীতে আছড়ে পড়ে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি। নিহত অসিম বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে স্কোয়াড্রন লিডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
অসীম জাওয়াদ
পারিবারিক সূত্র জানায়, সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি করে ২০১০ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স একাডেমিতে (বাফা) যোগ দেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টর’স স্কুল অব বিএএফ-এ স্টাফ ইনস্ট্রাক্টর ছিলেন তিনি।
পেশাজীবনে কৃতিত্বের জন্য ‘সোর্ড অফ অনার’ পেয়েছেন অসিম জাওয়াদ। ডিআর কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তি মিশনেও তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অসিম জাওয়াদ PT-6, L-39ZA, F-7MB, F-BG1 ইত্যাদি বিমান চালিয়েছেন। তিনি ছিলেন F-7MG1 এর অপারেশনাল পাইলট ও এলিমেন্ট লিডার। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক। অসীমের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।