সোমবার ৭ জুলাই ২০২৫ ২৩ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার ৭ জুলাই ২০২৫
দাবদাহ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা
ড. শামসুল আলম
প্রকাশ: বুধবার, ২২ মে, ২০২৪, ২:৪৮ PM
এপ্রিল মাসের শেষার্ধ আমরা অতি তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছি। এই পুরোটা সময় সারা দেশে মানুষ বৃষ্টির জন্য হা-পিত্যেশ করেছে। আবহাওয়া পঞ্জি অনুযায়ী ২৪ মার্চ থেকে ২১ মে পর্যন্ত সময়টা বর্ষাপূর্ব কালের সবচেয়ে শুষ্ক ও অধিক তাপমাত্রার সময়। এই সময়টাতে ৩২ থেকে ৪৮ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।

এই সময়ে কখনো কখনো তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর চলে যায়। আবহাওয়া হচ্ছে দৈনন্দিন তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, আর্দ্রতা, বায়ুচাপ ইত্যাদির ওঠানামা। এই আবহাওয়ার ৩০ বছরের গড় ধারাকে আমরা জলবায়ুর পরিবর্তন বুঝি। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন এখন এক অস্বস্তিকর বাস্তবতা।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান প্রভাবক সূচক হচ্ছে তাপমাত্রার বৃদ্ধি। উষ্ণায়ন ও পরিবেশ বিপর্যয়ে শিল্পোন্নত দেশগুলোর ভূমিকাই সর্বোচ্চ। উষ্ণায়ন নিয়ে এরা যত উচ্চকণ্ঠ, তত দায় এরা নেয় না, সেভাবে অর্থায়নেও এগিয়ে আসে না। জলবায়ু তহবিলের বরাদ্দে আমরা পুরো সুযোগও নিতে পারিনি যথাযোগ্য প্রকল্পের অভাবে।

স্বাধীনতার পর ঢাকা শহরের গড় তাপমাত্রা ছিল ১৯৭১-১৯৮০ সময়ে ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (এক দশকের গড়), ১৯৮১-১৯৯০ দশকের গড় ২৫.৮ এবং ২০১১-২০২২ সময়ে ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আমাদের আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা শহরের ক্রমাগত তাপমাত্রা বৃদ্ধি লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে কৃষি উৎপাদনের ওপর।

জলবায়ুর আরেক গুরুত্বপূর্ণ সূচক বার্ষিক বৃষ্টিপাত। গড়ে দশকভিত্তিক বৃষ্টিপাতপ্রাপ্তির অনিয়মিত অবস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই সঙ্গে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতও কমেছে। সত্তরের দশকের গড় বৃষ্টিপাত ছিল ৬০২.৩৩ মিলিমিটার, আশির দশকে ৬০৩.১০ মিলিমিটার, ২০১১-২০১৬ সময়ের গড় ৪০৮.৮৩ মিলিমিটার, যা সত্তরের দশক থেকে ৬৭ শতাংশ কম। উষ্ণায়নের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বেড়েছে। বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা ২০৫০ সাল নাগাদ বাড়বে .০২ মিটার থেকে ১ মিটার পর্যন্ত (আইপিসিসি ২০১৩ প্রক্ষেপণ)। ১ পিপিটি লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেলে নোনা পানি উপকূলীয় এলাকার ১৭.৫ শতাংশ পর্যন্ত এলাকা গ্রাস করবে আর ৫ পিপিটি লবণাক্ততা বৃদ্ধিতে নোনা পানি ২০৫০ সালের মধ্যে ২৪ শতাংশ উপকূলীয় এলাকা গ্রাস করবে। নোনা পানি গ্রাসের কারণে ধান উৎপাদনের হার কমবে, যদিও কৃষি গবেষকরা এরই মধ্যে কিছু লবণাক্ততা সহনশীল ধানজাত উদ্ভাবনে সক্ষম হয়েছেন, যার গ্রহণযোগ্যতা এখনো ব্যাপক হয়নি। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তাপসহিষ্ণু, লবণাক্ততা সহিষ্ণু জাত, খরা মোকাবেলায় সক্ষম জাত উন্নয়নে নিবিড় গবেষণা প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে।

পদ্মা থেকে পানি নিয়ে ভূপৃষ্ঠের সেচব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে মরুময়তা বা খরাপ্রবণতা রোধের চেষ্টা চলছে, যে কারণে বরেন্দ্র এলাকায় বোরো ধান উৎপাদন বেড়েছে। এখন গভীর নলকূপ ব্যবহার করে পানি উত্তোলনে সমস্যা বাড়ছে। ফারাক্কা বাঁধের কারণে এপ্রিল-মে মাসে পদ্মায়ও পানি প্রাপ্যতা কমে যায়। বরেন্দ্র এলাকায় পাতকুয়ায় বৃষ্টির পানি ধরে রাখাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। মজা পুকুর ও দিঘি পুনঃখননের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যেন শুকনা মৌসুমে জমিতে পানি দেওয়া যায়। শুকনা মৌসুমে সারা দেশেই কৃষির জন্য পানির দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দেয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের মধ্যে আরো রয়েছে নদীভাঙন, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, জলাবদ্ধতা, বন্যা ইত্যাদি। নদীভাঙনে প্রতিবছর ৫০ থেকে ৫৫ হাজার পরিবার ঘরবাড়ি, জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। প্রতিবছর বিভিন্ন মাত্রার ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস হলেও প্রায় প্রতি তিন বছরে অন্তত একবার বড় রকমের সম্পদ বিনষ্ট ও প্রাণ সংহারি ঝুঁকির ঘূর্ণিঝড় হয়ে থাকে। পৃথিবীর ১০টি বদ্বীপ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ। জলবায়ুগত প্রধান দুর্যোগের সূচকগুলো উল্লিখিত হয়েছে। এ ছাড়া শহর এলাকাগুলোও বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, বর্জ্যদূষণেও অতি আক্রান্ত জনসাধারণ। এই সামগ্রিক জলবায়ুগত দুর্ভোগ ও ভবিষ্যৎ ভয়াবহতার কথা বিবেচনা করেই জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিকল্পনা কমিশনকে বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রণয়নের নির্দেশনা প্রদান করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব; যেমন—উষ্ণায়ন, মরুকরণ, বন্যা, বৃষ্টির অনিয়মতা, উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা, কৃষিভূমিসহ প্রাকৃতিক সম্পদ অবনমন ও প্রতিবেশের বিনাশ রোধ করার কৌশল, প্রতিকার ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শসহ এটি দীর্ঘ মেয়াদের জন্য প্রণীত হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দীর্ঘ মেয়াদে দৃশ্যমান ও অনুভূত হয় বিধায় এর বিরূপ প্রভাব নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আবশ্যক হয়।

এক. বদ্বীপ পরিকল্পনায় দেশের চর পড়ে যাওয়া প্রধান নদীগুলোকে ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও সংরক্ষণ ড্রেজিংয়ের প্রস্তাব করা হয় এবং সারা দেশে নদী ড্রেজিংয়ের ব্যাপক কার্যক্রম গৃহীত হয়। ভূমি উদ্ধার, নদীগুলোকে নৌ চলাচলযোগ্য ও পানিপ্রবাহ অব্যাহত রাখতে ড্রেজিংয়ের বিকল্প নেই। প্রধান ও শাখা নদীগুলোর ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও সংরক্ষণ ড্রেজিং কার্যক্রম চালু থাকায় বাংলাদেশ দীর্ঘস্থায়ী ও ভয়াবহ বন্যা হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে। গত এক দশকে বাংলাদেশে দীর্ঘস্থায়ী ভয়াবহ বন্যা হতে দেখা যায়নি। আগামী দিনগুলোতে পরিকল্পিতভাবে ড্রেজিং কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। প্রতি বাজেট বরাদ্দে এর জন্য অর্থসংস্থান সুনির্দিষ্ট থাকতে হবে।

দুই. বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নদীভাঙন ঠেকাতে নদীশাসনের প্রয়োজন আছে। তবে এতে কাঠামোগত বিশাল ব্যয় জড়িত থাকে বিধায় এসব ভৌত অবকাঠামো গঠনে মান নিশ্চিত হতে হবে এবং এর সঙ্গে  প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জড়িত দুর্নীতি শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। নদীকে তার মূল স্রোতে বহমান রাখতে হবে। প্রকৃতির সঙ্গে বসবাসের সহনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করে ভৌত উন্নয়ন প্রকল্প নিতে হবে। ভূমি উর্বরতা ও প্রতিবেশ রক্ষায় স্বাভাবিক বন্যায় বাধা সৃষ্টি পরিহার করতে হবে। সড়ক-জনপথ নির্মাণে বর্ষা-বাদলে পানি চলাচল সর্বাগ্রে নিশ্চিত করতে হবে।

তিন. শুষ্ক মৌসুমে কৃষিতে ব্যবহার ও জীবনধারণে পানির সরবরাহ নিশ্চিতে পরমুখাপেক্ষী না থেকে দেশের অভ্যন্তরে নদীতে ছোট-বড় জলাধার নির্মাণে এখন আবশ্যকীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সারা দেশে সরকারি সব দিঘি ও পুকুর জলাধার হিসেবে নির্মাণের একটি বড় প্রকল্প স্থানীয় সরকার বিভাগ গ্রহণ করেছিল, তা বাস্তবায়ন সমাপ্ত করে যথাযথ সংরক্ষণ করতে হবে। পৌর ও শহর এলাকায় ব্যক্তিমালিকানাধীন হোক আর খাস পুকুর বা জলাশয় হোক, বিকল্প ব্যবহারে নেওয়া যাবে না। জলাশয়ে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে।

বদ্বীপ পরিকল্পনায় প্রস্তাবিত তিস্তা ও পুরনো ব্রহ্মপুত্রে জলাধার নির্মাণে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তিস্তা ব্যারাজ থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটারে তীর সংরক্ষণ ও বাঁধ নির্মাণ করলে এবং গাইবান্ধার কাছে যমুনায় উৎপত্তি বাঙ্গালী নদী গাইবান্ধা, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জে এসে হুররা সাগর হয়ে আবার যমুনায় পড়েছে, যা দৈর্ঘ্যে ১০২ কিলোমিটার, এটি বাংলাদেশের গভীর অভ্যন্তরে। তিস্তা ও বাঙ্গালী নদীতে অক্টোবরের মাঝামাঝি আধুনিক স্লুইস গেটের মাধ্যমে পানি আটকে রেখে জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নদীগুলোতে পানিপ্রবাহ অব্যাহত রাখলে কৃষিকাজ ও মৎস্য চাষ চলবে। এটি হলে উত্তরবঙ্গের সব কটি জেলায় পানির দুষ্প্রাপ্যতা কমবে। বাঙ্গালী নদীতে নৌ যোগাযোগও অব্যাহত থাকবে। নদী ও জলাশয়গুলো তাপমাত্রা শুষে নেয়। উত্তরবঙ্গে তিস্তা ও বাঙ্গালী নদী প্রকল্প শুধু পরিবেশ সহনীয়ই করবে না, কৃষি উৎপাদনে আমূল পরিবর্তন ঘটাবে। এসব প্রকল্পের ব্যাপারে বিশ্ব জলবায়ু তহবিল, বিশ্বব্যাংক ও জাইকার সহযোগিতা চাওয়া যেতে পারে। জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, ভৈরব পর্যন্ত পুরনো ব্রহ্মপুত্রে জলাধার নির্মাণের কথা ভাবা যায়। গড়াই নদীতেও জলাধার নির্মাণের কথা ভাবা যায়।

নদীগুলো বাংলাদেশের প্রাণপ্রবাহ। দেশের অভ্যন্তরে সব শাখা নদী ও মৃতপ্রায় নদীগুলোকে বাঁচিয়ে তোলা প্রয়োজন। আশা করি, শাখা নদীগুলোকে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে জমি উদ্ধার, ড্রেজিং ও কচুরিপানা মুক্ত রাখার মেগাপ্রকল্প গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো। পরিবেশবান্ধব জৈব সার সৃষ্টিতে কচুরিপানাগুলো ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। জলাভূমি, বিল, চলনবিল, বাঁওড় সংরক্ষণে কঠোর হতে হবে। এখন নদী ব্যবস্থাপনা নিয়েই আমাদের মেগাপ্রকল্প প্রণয়নে প্রাধান্য দিতে হবে। যমুনা নদীকে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে মূলধারায় ফিরিয়ে আনলে দুই পারে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত ভূমি উদ্ধার সম্ভব হবে, নৌবাণিজ্য পুনরুদ্ধার হবে। এই যমুনা অর্থনৈতিক করিডর সৃষ্টি প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক অর্থায়নে সম্মত হয়েছে। এটি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

চার. দেশজ আয়ে আমাদের শিল্প খাতের অবদান এখন ৩৬ শতাংশ। অন্যান্য খাতের চেয়ে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি এখন সবচেয়ে বেশি। পরিকল্পিত নগরায়ণে আমরা অবশ্যই যাব। নগরায়ণে সারা দেশেই বড় শহর কিংবা জেলা শহর থেকে জেলা শহরে যে সমস্ত জাতীয় কিংবা আঞ্চলিক মহাসড়ক গিয়েছে, উভয় পাশেই কৃষিজমিতে শিল্প, কলকারখানা গড়ে উঠেছে। এর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ইটিপি ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে না, যে কারণে শিল্পবর্জ্য ও তরল রাসায়নিক (সাভার চামড়া শিল্প এলাকাসহ) বাইরের খাল, উপনদী ও ধানক্ষেতে অনবরত ছড়িয়ে পড়ছে। পানি দূষণ হচ্ছে, চাষের  জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ও পরিবেশদূষণ থেকে বাঁচার তাগিদে প্রণীত পরিকল্পনা (বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০, মুজিব প্রস্পারিটি প্ল্যান, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা) বাস্তবায়নে আরো গতিশীলতা প্রয়োজন। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে আমাদের ২০৫০ সালের মধ্যে বেরিয়ে আসার জ্বালানি নীতি গ্রহণ করা উচিত।

পাঁচ. আবহাওয়ার বৈরিতা ও খামখেয়ালিপনা থেকে কৃষিকে রক্ষা করতে হবে খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে। সে কারণে আমাদের মাঠ কৃষিকে যতটা সম্ভব গ্রিনহাউস/প্লাস্টিক হাউসে নিয়ে আসতে হবে, যেখানে মাটির ওপরেও কয়েক স্তরে উৎপাদন শেলফে নিয়ন্ত্রিত পানি, তাপমাত্রা ও প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্ট দিয়ে ফসল উৎপন্ন হবে। এই উল্লম্ব কৃষিতে অধিক উৎপাদন পাওয়া সম্ভব হবে। গ্রিনহাউস/প্লাস্টিক কৃষিতে খরা, ঝড়, পোকামাকড়ের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হবে। এতে টিস্যু কালচার ব্যবহারে একই সময়ে কর্তন ও অনেক ফলন বাজারজাতকরণের সুবিধা পাওয়া যাবে। আমাদের যান্ত্রিকায়নের পরিমাণ ও ধরন প্লাস্টিক হাউস কৃষির প্রয়োজনে নির্ণীত হবে। বাণিজ্যিক কৃষি ব্যবস্থায় যেতে আমাদের আবহাওয়ার বিরূপতামুক্ত প্লাস্টিক হাউস কৃষি ব্যবস্থায় দ্রুত পদার্পণ করতে হবে। কৃষি ব্যবসা প্রসারণে এ হবে নতুন দিগন্ত। প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রণোদনা দেওয়ার জন্য এ ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ ছয়টি জলবায়ু হট স্পটে প্লাস্টিক হাউস কৃষির পাইলটিংয়ে বড় প্রকল্প গ্রহণ করতে পারে।

লেখক : অর্থনীতিবিদ ও সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত