বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিঃসন্দেহে পূর্ববঙ্গের অধিকারহীন গণমানুষের নেতা ছিলেন, কিন্তু একই সঙ্গে তিনি ছিলেন শান্তি ও সাম্য প্রত্যাশী লড়াকু এক সেনাপতি, যাঁর রাজনৈতিক দর্শনের প্রধান অনুষঙ্গ ছিল ধর্ম-বর্ণ-জাতি-জনপদ-নির্বিশেষে সব মানুষের উপদ্রবহীন জীবনযাপনের অধিকার। তিনি বিকশিত হয়েছিলেন এমন এক সময়ে যখন বিশ্ব দুই বিপরীতমুখী বলয়ের প্রগাঢ় দ্বন্দ্ব বলয়ে আবদ্ধ; একদিকে আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমের ধনবাদী বিশ্ব, অন্যদিকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন বা রাশিয়ার নেতৃতে সমাজতন্ত্রী শিবির।
উল্লেখযোগ্য, ২০ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার জনপদগুলো, এমনকি পূর্ব ইউরোপের অশান্ত বিশ্ব ও বঙ্গবন্ধুর শান্তিবাদী নীতি-আদর্শজনপদ দৃশ্যতই সমাজতন্ত্রের দর্শনকে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করেছিল। এর কারণও আছে।
সমাজতন্ত্রী শিবির মনেপ্রাণে এশিয়া-আফ্রিকার মুক্তির সংগ্রামকে সমর্থন জানায়, অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ধনবাদী বিশ্ব মুক্তিসংগ্রামের সেই ডাককে অস্বীকার করে। উল্লেখ্য, বিশ শতকের এ সময়েই ক্রমান্বয়ে উপনিবেশমুক্ত হতে থাকে একেকটি জনপদ এবং প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে শৃঙ্খলমুক্তির সহায়ক শক্তি হিসেবে পাশে দাঁড়ায় সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব।
বলা বাহুল্য, দুই পরাশক্তির বিদ্যমান দ্বন্দ্বে পূর্ববঙ্গের রাজনৈতিক নেতৃত্বের পক্ষে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা ছিল সুকঠিন কাজ। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি ছিল শান্তি, সাম্য, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য। ফলে দুই আদর্শিক শিবিরের প্রতিযোগিতার মধ্যেও তিনি নিজের দর্শনের স্বাতন্ত্র্য সংহত করতে পেরেছেন এবং বঞ্চিত মানুষের মনের মানুষে পরিণত হয়েছেন।
সেদিনের বিশ্ব প্রেক্ষাপটেই বাংলাদেশের স্রষ্টা শেখ মুজিবুর রহমান জুলিও কুরি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মাননা লাভ করেছিলেন। বিশ্বশান্তি পরিষদের এই পদক বা পুরস্কার বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জনকের নীতি, কর্ম ও আদর্শের প্রথম বিশ্ব স্বীকৃতি। এই স্বীকৃতি সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশকে অনন্য অভিজ্ঞানে সিক্ত করেছিল, সদ্যস্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য জাতিসংঘসহ বিশ্ববাসীর স্বীকৃতি লাভ ত্বরান্বিত করেছিল।

বিশ্বব্যবস্থা এখন আগের মতো নেই; সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বিশ্ব আর ‘বাইপোলার’ নয়, এমনকি কাগজে-কলমে ‘ইউনিপোলার’ থাকলেও আমেরিকার একক কর্তৃত্ব আজ ক্ষয়িষ্ণু। একদিকে যেমন চীন দাঁড়িয়েছে প্রবল প্রতাপে, দাঁড়িয়েছে শক্তিধর রাশিয়া, অন্যদিকে মাথা উঁচু করেছে আফ্রিকা-লাতিন আমেরিকা। এমনকি ভারতও নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে নিজের স্বাধীন সত্তায়। কিন্তু পাঁচ দশকের ব্যবধানেও এই বাঙালি মহানায়কের রাজনীতি-দর্শন সমকালীনতা হারিয়েছে, তা বলা যাবে না। কারণ বিশ্ব আজ জাতিতে জাতিতে, রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে উত্তরোত্তর সংঘাতে জড়িত। ইউরোপে শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ফিলিস্তিনিদের নিঃশেষ করতে ইসরায়েল নগ্ন থাবা বিস্তার করেছে। সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ নানা চরিত্রে বিকশিত হয়েছে।
স্মরণযোগ্য, পাকিস্তানি উগ্র সাম্প্রদায়িক ও সামরিকতন্ত্রের বিরুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমান একটি সফল জনবিদ্রোহ সম্পন্ন করে জন্ম দিয়েছিলেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের। সেই গণবিদ্রোহ এতটাই সার্থক ছিল যে একদিকে তা স্বৈরতন্ত্রী পাকিস্তানি রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙেছে, অন্যদিকে ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভিত্তি দান করেছে। ভুললে চলবে না, মুক্তিযুদ্ধের মাত্র ১০ মাসের মাথায় ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রীয় সংবিধান অনুযায়ী গোটা মুসলিমপ্রধান জনপদের মধ্যে বাংলাদেশই হয়ে ওঠে একমাত্র আধুনিক রাষ্ট্র।
পাকিস্তানি সেনাতন্ত্র ও অলীক ধর্মরাষ্ট্রের যূথবদ্ধ স্বপ্ন ভেঙে শেখ মুজিব গড়ে তোলেন আধুনিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র। পাকিস্তানের কারাগার থেকে স্বদেশে ফিরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের হাল ধরেন তিনি। ঠিক এমন সময়ে, ১০ অক্টোবর ১৯৭২, তাঁকে নির্বাচিত করা হয় ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পুরস্কারের জন্য। চিলির সান্তিয়াগোতে সমাজতন্ত্রী বলয় প্রভাবিত বিশ্ব শান্তি পরিষদের সভায় ১৪০টি দেশের যে প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা শান্তিবাদী রাজনীতি-দর্শনের বিবেচনায় সমস্বরে নির্বাচন করেন বঙ্গবন্ধুকে। পরের বছর, ১৯৭৩ সালের ২৩ মে জাতির পিতাকে সম্মাননাটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন বিশ্ব শান্তি পরিষদের তখনকার মহাসচিব রমেশচন্দ্র।
আমার মনে পড়ে, সেই অনুষ্ঠানে রমেশচন্দ্র বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার নন, তিনি বিশ্বেরও নেতা এবং তিনি বিশ্ববন্ধু।’ বলা বাহুল্য, সদ্যঃস্বাধীন বাংলাদেশের সেটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান। পুরস্কার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘এই সম্মান কোনো ব্যক্তিবিশেষের জন্য নয়। এই সম্মান বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে আত্মদানকারী শহীদদের, স্বাধীনতাসংগ্রামের বীরসেনানীদের। জুলিও কুরি শান্তি পদক সমগ্র বাঙালি জাতির।’
পুরস্কারটির প্রবর্তন ঘটে ফ্রান্সের বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী ফ্রেডেরিক জুলিও কুরির স্মরণে ১৯৫৭ সালে। তাঁর স্ত্রী মেরি কুরি ও জুলিও কুরি দুজনই ছিলেন বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী, যাঁরা পদার্থবিদ্যায় নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেন এবং যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এই বিজ্ঞানী দম্পতির অবদান চিরস্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ব শান্তি পরিষদ ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামে এবং মানবতার কল্যাণে বিশেষ অবদানের জন্য বিশ্বজুড়ে ব্যক্তি ও সংগঠনকে পুরস্কারটি দিয়ে থাকে। যাঁরা এই সম্মান লাভ করেন তাঁরা সবাই এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার কালজয়ী মানুষ। বঙ্গবন্ধু ছাড়াও এই সম্মান অর্জন করেন কিউবার নেতা ফিদেল কাস্ত্রো, ভিয়েতনামের নেতা হো চি মিন, চিলির সমাজতন্ত্রী নেতা সালভেদর আলেন্দে, ফিলিস্তিনের নেতা ইয়াসির আরাফাত, ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামী নেতা প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওয়াহেরলাল নেহরু, দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলা, কবি ও রাজনীতিবিদ পাবলো নেরুদা, মার্টিন লুথার কিংসহ বরেণ্য ব্যক্তিরা।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, কিন্তু এর বাইরেও তিনি হয়ে ওঠেন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা মানুষ। বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলনে তিনি কারাভোগ করেন। ১৯৫২ সালে চীনে অনুষ্ঠিত ‘পিস কনফারেন্স অব দি এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক রিজিয়নস’ সম্মেলনে যোগ দেন; এরপর ১৯৫৬ সালে স্টকহোম বিশ্ব শান্তি পরিষদের সম্মেলনে অংশ নেন। সাম্য ও শান্তি বিষয়ে তাঁর অবস্থান ছিল দৃঢ়। তাঁর নিজের উক্তি : ‘বিশ্বশান্তি আমার জীবনের মূলনীতি। নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত ও স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষ, যেকোনো স্থানেই হোক না কেন, তাঁদের সঙ্গে আমি রয়েছি। আমরা চাই বিশ্বের সর্বত্র শান্তি বজায় থাকুক, তাকে সুসংহত করা হোক।’
বঙ্গবন্ধু যথার্থই উপলব্ধি করেছিলেন ধর্ম ব্যক্তিজীবনের বড় অবলম্বন; কিন্তু রাষ্ট্র ধর্ম-বর্ণ-ছোট-বড়-নির্বিশেষে সবার সমান অধিকার সংরক্ষণের জন্য। তিনি এটিও উপলব্ধি করেন, ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রনীতি শুধু ধর্মের ঔদার্যকেই খর্ব করে না, রাষ্ট্রকেও সংকুচিত করে। তাই একজন খাঁটি মুসলমান হয়েও তিনি ধর্মীয় রাজনীতি সমর্থনের কারণ খুঁজে পাননি। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি উচ্চারণ করেছিলেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই যে বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে। আর তার ভিত্তি বিশেষ কোনো ধর্মীয়ভিত্তিক হবে না। রাষ্ট্রের ভিত্তি হবে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এ দেশের কৃষক-শ্রমিক-হিন্দু-মুসলমান সুখে থাকবে, শান্তিতে থাকবে।’ এই ঘোষণা বাস্তবায়নের পথে তিনি যখন মনোনিবেশ করেছিলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে আরেক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন, ঠিক তখনই তাঁকে হত্যা করা হয়।
জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সাম্রাজ্যবাদবিরোধী অবস্থানে অনড় ছিলেন। পাকিস্তানের নব্য সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন তিনি। বিশ্ব পরাশক্তির ধনবাদী অংশ পাকিস্তানি গণহত্যার সমর্থক হয়েছিল, অন্যদিকে সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব নির্যাতিত বাঙালির পাশে দাঁড়িয়েছিল। এর পরও বঙ্গবন্ধু কখনোই দুই অক্ষ শক্তির অবস্থানকে নিজের করে নেননি, স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেছেন নিজের।
এই বরেণ্য নেতা বিশ্বযুদ্ধ দেখেছেন, ঔপনিবেশিক ভারতে মানুষে মানুষে হানাহানি দেখেছেন, লাখো মানুষের অনাহার মৃত্যু দেখেছেন। সে কারণেই তিনি বলতে পেরেছেন : ‘আমরা চাই, অস্ত্র প্রতিযোগিতায় ব্যয়িত অর্থ দুনিয়ার দুঃখী মানুষের কল্যাণের জন্য নিয়োগ করা হোক। তাহলে পৃথিবী থেকে দারিদ্র্যের অভিশাপ মুছে ফেলার কাজ অনেক সহজসাধ্য হবে।’
লক্ষণীয়, তাঁর শাসনামলে বাংলাদেশ কোনো সামরিক জোটে যোগ দেয়নি, বরং গ্রহণ করেছিল নিরপেক্ষতার নীতি। এই জোট-নিরপেক্ষতা বাংলাদেশকে বিশ্বসভায় একটি ন্যায়ানুগ দেশের মর্যাদা দিয়েছে। ‘সবার প্রতি বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বৈরিতা নয়’- এই নীতির ভিত্তিতে তিনি বিনির্মাণ করেন বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি। সেই নীতি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘আমরা সর্বপ্রকার অস্ত্র প্রতিযোগিতার পরিবর্তে দুনিয়ার সব শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের কল্যাণে বিশ্বাসী বলেই বিশ্বের সব দেশ ও জাতির বন্ধুত্ব কামনা করি। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বিদ্বেষ নয়, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের এই নীতিতে আমরা আস্থাশীল। তাই সামরিক জোটগুলোর বাইরে থেকে সক্রিয় নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি আমরা অনুসরণ করে চলেছি।’
জাতির পিতা সে কারণেই বলতে পেরেছেন, ‘আমাদের মুক্তিসংগ্রামের আলোকেই জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের মূল্য আমরা অর্জন করেছি। আমরা জানি, মুক্তিকামী মানুষের ন্যায়সংগত সংগ্রাম অস্ত্রের জোরে স্তব্ধ করা যায় না। সে জন্য ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস, অ্যাঙ্গোলা, মোজাম্বিক, গিনি বিসাউসহ দুনিয়ার সব উপনিবেশবিরোধী সংগ্রামের প্রতি আমরা জানিয়েছি অকুণ্ঠ সমর্থন। আমরা ক্ষোভ প্রকাশ করি অন্যায়ভাবে আরব এলাকা ইসরায়েল কর্তৃক জোরপূর্বক দখলে রাখার বিরুদ্ধে। আমরা দ্বিধাহীন চিত্তে নিন্দা করি দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিশ্বের সব স্থানের বর্ণভেদবাদী নীতির। আমরা সমর্থন জানাই বিশ্বশান্তি, নিরস্ত্রীকরণ ও মানবকল্যাণের যেকোনো মহৎ প্রচেষ্টাকে।’
জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল শোষণহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার। ১৯৭২ সালে তাঁর প্রথম মে দিবসের ভাষণে তিনি বলেন, ‘অতীতে আমরা একটি মর্মান্তিক পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার নিগড়ে বাঁধা পড়ে গিয়েছিলাম। গুটিকয়েক সুবিধাবাদী ব্যক্তি ও গোষ্ঠী জাতীয় সম্পদ ও শ্রমজীবী মানুষের উৎপাদন নিজেদের কুক্ষিগত করে রেখেছিল। দেশ আজ স্বাধীন। সম্পদের মালিক জনগণ। তাই কোনো শ্রেণীবিশেষের ভোগ লালসার জন্য এবং লোভ চরিতার্থ করার নিমিত্ত এই সম্পদকে অপচয় করতে দেওয়া যাবে না। ’
বঙ্গবন্ধু আজ সশরীরে উপস্থিত নেই, কিন্তু তাঁর নীতি-অবস্থান আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। এই প্রাসঙ্গিকতা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, একই সঙ্গে যুদ্ধ-সংঘাতে জর্জরিত, অবিচারে জর্জরিত এবং ‘হ্যাভ’ ও ‘হ্যাভনটস-এ’ বিভাজিত বিশ্বের প্রতিটি জনপদের জন্য। এই ক্ষণজন্মা মহাপ্রাণের প্রতি অশেষ প্রণতি।
লেখক : কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক