বিদ্যুৎ - পানি ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন,আওতার বাহিরে ছিল মোবাইল নেটওয়ার্ক,ঘরে জ্বলেনি কুপি বাতিও রেমালের তান্ডব আতঙ্কে নির্ঘুম কাটিয়েছে এমন কয়েক হাজার পরিবার ।
রবিবার (২৬ মে) সন্ধ্যার পর থেকেই উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় ধীরে ধীরে আঘাত হানতে শুরু করে ঘূর্ণিঝড় রেমাল।
রাত ১১টার পরেই তীব্র শক্তি নিয়ে প্রকোট বৃদ্ধি করে দুমড়ে মুছড়ে আছড়ে ফেলতে থাকে একে একে বড় বড় গাছপালাসহ বিভিন্ন ঘরবাড়ি,এমনই সংবাদ পাওয়া যায় উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে। রাত ১০টার পর থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে উপজেলার লক্ষাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহকগণ।
বিদ্যুতের পাশাপাশি দুর্বল হয়ে পড়ে মোবাইল নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা,থাকেনা ইন্টারনেট সুবিধা এমনকি পৌরসভার পানি সরবরাহেও ঘটে ব্যাপক বিপত্তি, এই সংবাদ লেখা সময় পর্যন্তও পৌরসভার পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে,ফলে প্রায় ৪০ঘন্টা বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত হয়েছে পৌরসভার কয়েক হাজার বাসিন্দা।
বিদ্যুৎ না থাকায় পানি সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটেছে বলে দাবি করেছেন পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট। অবশ্য রেমাল তান্ডবের আগেই পৌর মেয়র তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে বিশুদ্ধ পানিসহ যেইকোন প্রয়োজনে তাকে এবং তার পৌর পরিষদকে অবগত করার জন্য জরুরি ফোন নাম্বার দিয়ে রেখেছিলেন।
ঐদিকে উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম গুলো মেঘনা তীরবর্তী হওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া গিয়েছে তবে এখন পর্যন্ত তেমন কোথাও হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি। উপজেলার বেশ কয়েকটি সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নিয়েছিল কয়েকশতাধিক পরিবার। এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা গুলো ভিন্ন ভিন্ন ভাবে পরিদর্শন করেছেন রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইমরান খান।
অপরদিকে সোমবার সকাল থেকে টানা বর্ষণ ও ঝড়ো বাতাসের প্রভাবে পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকানপাট বন্ধ থাকায় মোমবাতিসহ কেরাসিন তেল কিনতে না পারায় অনেকের ঘরে কুপি বাতিও জ্বলেনি বলে খবর পাওয়া যায়। সংবাদ তৈরি সময়কাল পর্যন্ত ও উপজেলার প্রায় সব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ রয়েছে। ফলে চার্যের অভাবে অকার্যকর হয়ে পড়েছে মেবাইল ফোন ব্যাবস্থা। উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ন কেন্দ্রে নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে খাবার সরবরাহ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।