আসন্ন সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ইতোমধ্যে নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখতে কাজ শুরু করেছে প্রশাসন, বিভিন্ন পর্যায়ের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সহ সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ। আগামী ২৯ তারিখ নির্বাচনের দিন পর্যন্ত নানা প্রকার পুলিশিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানা যায়, উপজেলা নির্বাচনে এবার পৌর সভায় ১ জন ও প্রতি ইউনিয়নে ১ জন করে মোট ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। ২ প্লাটুন বিজিবি ৬ টি টিমে উপজেলা ব্যাপী কাজ করবে। পাশাপাশি র্যাব সদস্যরা থাকবেন। উপজেলা ব্যাপী আনসার ১ হাজার ৮২ জন কেন্দ্রে ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ৩০ জন ও এক্স সেকশন অশ্রধারী ১০ জন থাকবে।
পুলিশ জানায়, সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ নিবার্চন সুষ্ঠু, সুন্দর, নান্দনিক গতিশীল ও অগ্রসরমান সোনাগাজীর নাগরিক নিরাপত্তা ও একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ৩য় ধাপের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কঠোর, নিরপেক্ষ পুলিশিং কার্যক্রম।
৩ স্তরের পুলিশ বাহিনী মাঠে থাকবেন। নির্বাচনে পুলিশের মোট ১৪ টি টিম কাজ করবে। প্রতি কেন্দ্রে নুন্যতম ২ জন করে পুলিশ থাকবে। ১১ টি মোবাইল এছাড়া পুলিশের ২ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে ও একটি পুলিশের স্ট্যন্ডবাই টিম কাজ করবে।তাছাড়া সাদা পোশাকে থাকবে।
পৌর শহরের ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন বলেন, আগামী ২৯ তারিখ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। তবে এবারের নির্বাচনটা একটু ব্যতিক্রম। কয়েকদিন থেকে দেখছি পুলিশ খুব দৌঁড়াদৌঁড়ি করছে। আমি ধারণা করে নিয়েছি নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ এমন তৎপর হয়েছে। এমন অবস্থানে পুলিশ থাকলে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে বলে বিশ্বাস করি।
সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুদ্বীপ রায় বলেন, ফেনী পুলিশ সুপার জাকির হাসান এর নির্দেশ না অনুযায়ী অত্যন্ত সততা, হাড়ভাংগা পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে কঠোর অবস্থানে আছি। নির্বাচনকে ঘিরে কেউ যদি সহিংসতার পায়তারা করে, সে যেই হোক তাকে আমরা আইনের কাঠগড়ায় আনতে বদ্ধ পরিকর।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনির ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ প্রশাসন কাজ করবে।