পুলিশের মতে, দিন দিন বেড়েই চলেছে কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধের পরিধি। গত এক বছরে সারা দেশে ২৫টি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। অপরাধ বিজ্ঞানীরা বলছেন, অপরাধীরা আইনের ফাঁকে বের হয়ে গেলেও মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় বেড়েই চলছে দাপট।
গত দেড় বছরে কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যা ৬৪টি বেড়ে এখন মোট ২৩৭টি। এদের ২ হাজার ৩৭২ জন গ্যাং সদস্যের অনেকের বিরুদ্ধে নানা অপরাধে ৭৮০টি মামলা রয়েছে। তাই প্রশাসনের সঙ্গে জাতির বৃহৎ স্বার্থে এখনই সমাজ সংস্কারক ও জন প্রতিনিধিরা এগিয়ে না আসলে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি সামলানো কষ্টকর হবে বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
আর ঢাকা মহানগর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলছেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘কোনো কিশোর অপরাধীকে কাস্টডিতে নেয়ার পর যদি কারো নাম বলে যে আমি, ওমুক এর প্ররোচণায় এ কাজ করেছি তখনই পেছনে যাওয়া যায়। কোনো প্রমাণ ছাড়া কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া আইনসঙ্গত নয়। এটা দীর্ঘস্থায়ী হয় না।’
গত মাসে ময়মনসিংহে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৬ বছরের এক কিশোরকে হত্যা করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। একইভাবে চলতি মাসের শুরুতে সিলেটে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে প্রাণ হারায় আলী নিশো নামে এক কিশোর। হত্যাকাণ্ড ছাড়াও বিভিন্ন সময় ছিনতাই, চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধে যুক্ত কিশোর গ্যাংয়ের নিপীড়নের শিকার সাধারণ মানুষ। এসব বিষয় নিয়ে উঠতি বয়সী তরুণদের মাঝে দেখা দিয়েছে আতঙ্কের ছাপ।