একজন সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য ১০ জিলহজ কোরবানির থেকে উত্তম আমল আর কিছু নেই। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের ওপর পশু কোরবানি করা ওয়াজিব।
মাহনাফ ইবন সুলায়মান (রা.) থেকে বর্ণিত, আমরা রাসুলের (সা.) সঙ্গে আরাফায় অবস্থান করছিলাম। তখন তিনি বলেন, হে লোক সকল! আমাদের প্রত্যেক গৃহবাসীর ওপর প্রতি বছর কোরবানি করা ওয়াজিব। (আবু দাউদ, ২৭৭৯)
কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, আর কাবার জন্য উৎসর্গীকৃত উটকে আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন করেছি। এতে তোমাদের জন্য মঙ্গল রয়েছে। সুতরাং সারিবদ্ধভাবে বাধা অবস্থায় তাদের জবাই করার সময় তোমরা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো।
এরপর যখন তারা কাত হয়ে পড়ে যায়, তখন তা থেকে তোমরা আহার করো এবং আহার করাও; যে কিছু চায় না তাকে এবং যে চায় তাকেও। এমনিভাবে আমি এগুলোকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছি, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পার। (সুরা হজ : আয়াত ৩৬)
বারাআ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- ‘আমি রাসুলকে (সা.) খুতবা দিতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, আমাদের আজকের এ দিনে (ঈদুল আজহা) আমরা যে কাজ প্রথম শুরু করব, তা হলো সালাত (নামাজ) আদায় করা। এরপর ফিরে আসব এবং কোরবানি করব। তাই যে এভাবে করে সে আমাদের রীতিনীতি সঠিকভাবে পালন করল।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৯০৩)
যেসব ত্রুটি থাকলে কোরবানি হবে না
১. ক্ষীণ পশু, যার হাড্ডির মগজ পর্যন্ত শুকিয়ে গেছে
২. খোঁড়া পশু
৩. রুগ্ন পশু
৪. কানা পশু
হাদীসে এসেছে, বারা ইবনু আযিব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- খোঁড়া পশু যার খোঁড়া হওয়া স্পষ্ট, কানা পশু যার অন্ধত্ব স্পষ্ট, রুগ্ন পশু যার রোগ স্পষ্ট, ক্ষীণ পশু যার হাড্ডির মগজ পর্যন্ত শুকিয়ে গেছে- এমন পশুর কোরবানি হবে না।