পঞ্চম শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে আলাই শাহ (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে আটক করেছে পুলিশ। ২৫ জুন মঙ্গলবার দুপুরে ঈশ্বরদীর সাহাপুর পশ্চিমপাড়া শাহপাড়ার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আলাই শাহ ওই এলাকার মৃত জমিন শাহ ছেলে।
জানা যায়, গত শনিবার রাত ৮টার দিকে ওই শিক্ষার্থীসহ তার সমবয়সী দুই বান্ধবীর সঙ্গে পাশের বাড়ি থেকে টেলিভিশন দেখে বাড়িতে ফিরছিল। পথে মধ্যে বাঁশবাগানের ভিতরে শিশু তিনটিকে দেখে আলাই শাহ ভুক্তভোগি শিশুকে স্কুলে গিয়ে মিষ্টি খাওয়ার কথা বলে একশত টাকা ও অপর দুইজনকে ৫০ টাকা করে দেন। এরপর ভুক্তভোগি শিশুটিকে বাঁশবাগানের মধ্যে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন।
শিশুটিকে তার বান্ধবীদের সঙ্গে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে যেতে দেখে আলাই শাহ ছেলে জহুরুল শাহের স্ত্রী লতা খাতুন তাদের বাড়িতে ডেকে নেন। ভুক্তভোগিসহ অপর দুই শিশুর নিকট থেকে ঘটনাটি শুনে লতা খাতুন সুকৌশলে ভুক্তভোগি শিশুর পরনের পায়জামা পানিতে ধুয়ে দেন। একই সঙ্গে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
শিশু শিক্ষার্থীর বাবা জানান, আলাই শাহ ও তার পরিবারের সবাই লম্পট প্রকৃতির। তার শিশু কন্যার সঙ্গে জঘন্য ঘটনা ঘটিয়ে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে আলাই শাহ ও তার ছেলের বৌ। ঘটনাটি মেয়ে ও তার বান্ধবীদের নিকট থেকে শুনে থানায় শশুর আলাই শাহ ও তার ছেলের বৌ লতা খাতুনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
অভিযুক্ত আলাই শাহ জানান, ধর্ষণের অভিযোগটি ষড়যন্ত্র মাত্র। তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবী করেন আলাই শাহ।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান,ভুক্তভোগি শিশুটির বাবা থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আলাই শাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা দায়েরহয়েছে। বুধবার ভুক্তভোগির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়।