আবার কখনও বা বাসে ভ্রমণ করার সময় কিংবা অফিসে বা বাড়িতে কাজ করার সময় কাজের চাপে প্রস্রাব চেপে রাখেন। এটা কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। অধিকাংশ সময় পরিচ্ছন্ন শৌচাগার না থাকার কারণে অনেক মহিলা প্রস্রাবের বেগ চেপে রাখেন। আবার কখনও বা বাসে ভ্রমণ করার সময় কিংবা অফিসে বা বাড়িতে কাজ করার সময় কাজের চাপে প্রস্রাব চেপে রাখেন। এটা কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।
বলা ভাল যে, প্রস্রাব আটকে রাখা কোনও অপরাধের চেয়ে কিছু কম নয়। আসলে প্রস্রাব চেপে রাখা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। আজকের প্রতিবেদনে তাই আলোচনা করে নেব যে, দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখার ফলে কী কী সমস্যা হতে পারে!
ঝাড়খণ্ডের গুমলার সদর হাসপাতালের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডা. অনুপম কিশোর বলছেন যে, দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্রাব চেপে রাখা আসলে অভ্যাসের ব্যাপার। আর মানুষের এমন অভ্যাস তৈরি করা উচিত নয়। যদি কেউ প্রস্রাবের বেগ অনুভব করেন, তাহলে বেশিক্ষণ তা চেপে রাখা চলবে না।
এই সমস্যাটি কিছুটা সামাজিকও বটে, যার কারণে বিশেষ করে নারীদেরই বেশি ভুগতে হয়। যার জেরে মহিলাদের প্রস্রাব সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দিতে থাকে। যেমন - মূত্রথলিতে পাথর, কিডনিতে পাথর, প্রস্রাবের সমস্যা, মূত্রাশয়ে প্রসারিত হওয়ার সমস্যা ইত্যাদি।
আসলে মহিলারা যেহেতু দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখেন, এর জেরে তাঁদের মূত্রাশয়ে চাপ পড়ে। তাই প্রস্রাবের বেগ এলে তা ত্যাগ করতে হবে। তবে প্রস্রাব করার সমস্যা থাকলে ৩০ মিনিট মতো প্রস্রাব আটকে রাখা যেতে পারে। কিন্তু এর থেকে বেশিক্ষণ চেপে রাখলে মূত্রাশয় দুর্বল হয়ে ফেটে যেতে পারে।
তবে পুরুষদের মধ্যে এই সমস্যা তেমন একটা দেখা যায় না। যদি একজন পুরুষ দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্রাব আটকে রাখেন, তাহলে তাঁদের ক্ষেত্রে মূত্রনালীর সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আবার মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের পাথর হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা হলেও কম। এছাড়াও মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রস্রাব করার সময় ব্যথা, জ্বালাপোড়া, চুলকানির মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, এটা কতটা ক্ষতিকর!
তাই যাঁরা বাইরে যান, তাঁদের অবশ্যই প্রস্রাবের বেগ এলে প্রস্রাব করার অভ্যাস তৈরি করা উচিত। এতে বিভিন্ন রোগের হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে।