গত রবিবার অর্থাৎ ৩০ জুন ২০২৪, মহান জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম জাতীয় বাজেট। ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ স্লোগান নিয়ে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আকার বেড়েছে ৪.৬ শতাংশ। বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা।
বাজেটে ঘাটতি রাখা হয়েছে জিডিপির ৪.৬ শতাংশ, যা গত বাজেটের চেয়ে ০.১ শতাংশ কম। বাজেট ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক উৎস থেকে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এক লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের।
অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে গত ১৫ বছরে যে ধরনের প্রবৃদ্ধির গতি দেখতে আমরা অভ্যস্ত, তার ক্ষেত্রে একটু ছাড় দিয়ে হলেও বাস্তবতার নিরিখে বেশ খানিকটা সংকোচনমুখী বাজেটের দিকেই সরকার হাঁটবে বলে ধারণা করা হয়েছিল।
বাস্তবেও তা-ই হয়েছে। তবে যেমনটি আগেই ধারণা করেছিলাম সে মতে এই কাটছাঁট থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির মতো সামাজিক খাতগুলোকে পুরোপুরি মুক্ত রাখা সম্ভব হয়নি। সম্পদের সীমাবদ্ধতা ও বিদ্যমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক বাস্তবতার নিরিখেই হয়তো বাজেট চূড়ান্ত করার আগে এই খাতগুলোতে বরাদ্দ আর বাড়ানো সম্ভব হয়নি বাজেট প্রণেতাদের পক্ষে। এর ফলে সামাজিক খাতগুলোতে দেওয়া এই সংকোচনমুখী বরাদ্দের যথাযথ বাস্তবায়ন আরো জরুরি হয়ে পড়েছে।
বিরাজমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা, বিশেষ করে মূল্যস্ফীতির কবল থেকে নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাজেট বাস্তবায়নে সংবেদনশীলতা তাই বিশেষভাবে কাম্য। এ কথা জোর দিয়েই বলা চলে যে বাজেট বাস্তবায়নের বিষয়টিই এই সময়ের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
বাজেট বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ সংবেদনশীলতা কাম্যজুন ২০২৪-এর শুরুতে যখন বাজেটটি মহান জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়, তখনই প্রাথমিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই বাজেটটিকে বাস্তবানুগ বলেছিলাম। কেননা দু-একটি বাদে সময়ের দাবিগুলোর প্রতি বাজেটের প্রস্তাবগুলোকে যথাযথ সংবেদনশীলই মনে হয়েছিল। বাজেট চূড়ান্তকরণের সময় ওই অর্থে বড় ধরনের রদবদল না হওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কারণ দেখছি না। তবে সঠিকভাবে বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই এই বাজেটকে জনগণের কাছে অর্থবহ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।
সর্বোচ্চ আয়শ্রেণির নাগরিকদের ওপর প্রযোজ্য কর ৩০ শতাংশে উন্নীত করার কথা প্রথমে ভাবা হলেও পরে সেটি ২৫ শতাংশেই রাখা হয়েছে। কেউ কেউ হয়তো এই সিদ্ধান্তকে ধনিক-তোষণ বলে আপত্তি তুলবেন। তবে এ বছর উচ্চমধ্যম আয়ের মানুষেরও লাগামহীন মূল্যস্ফীতির সঙ্গে পাল্লা দিতে হচ্ছে।
এ অবস্থায় তাদের ওপর করের বোঝা বাড়ালে তারা বরং কর প্রদানে নিরুৎসাহ হতে পারে। এই আশঙ্কা অমূলক নয়। তবে বিদ্যমান অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরূপ প্রভাবের কথাটিও মনে রাখা চাই। মনে হয়, বাজেট প্রণেতাদেরও সে কথাটি মনে আছে। তাই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে পরের অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এই করের হার ৩০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এতে নাগরিকরা এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে পারবে। মনে হয়, এটিও একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। তবে করের হার ছাড়াও ভ্যাট ও অন্যান্য আরো ক্ষেত্র আছে, যেসব জায়গায় আরো কাজ করার সুযোগ রয়েছে, যাতে অতি লোভ ও অতি লাভের কারিগরদের বিরত রেখে অর্থনীতিকে সুষম করা যায়।
অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল করা, বৃহত্তর জনকল্যাণ কিংবা রপ্তানি-কর্মসংস্থানকে বলশালী করতে নতুন বছরের বাজেটে অনেক ক্ষেত্রেই নানা রকম ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে এগুলোর ফাঁক গলে কেউ যেন অনৈতিক সুবিধা না নেয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা চাই। যেমনÑএকাধিক মোটরযানের মালিকদের ওপর বাড়তি পরিবেশ সারচার্জ আরোপ করা হয়েছে, যা একটি স্বাগত জানানোর মতো সিদ্ধান্ত। তবে একাধিক মোটরযানের জন্য বাড়তি সারচার্জের বিধান থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে কম্পানিগুলোকে।
ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যেই হয়তো এমন বিধান করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কম্পানির মালিক বা পরিচালকদের কেউ কেউ কম্পানির মোটরযান ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে এই বিধানের ফাঁক গলে কর ফাঁকি দেওয়ার পাঁয়তারা করতে পারেন। এই দিকটি ডিজিটাল মনিটরিংয়ের আওতায় আনার সুযোগ রয়েছে। অথবা কম্পানিকে এই গাড়ি ব্যবহারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট সামাজিক সুরক্ষা বাবদ বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার প্রতি সংবেদনশীলতা দেখা গেছে। এ খাতে বরাদ্দ হয়েছে এক লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা মোট জাতীয় বাজেটের ১৭.০৬ শতাংশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটেও এ খাতে মোট বাজেটের প্রায় ১৭ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। এই ধারাবাহিকতাকে প্রশংসনীয়ই বলতে হবে। তবে বিদ্যমান বাস্তবতার বিচারে, বিশেষত নগরাঞ্চলের দরিদ্র নাগরিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা বাবদ আরো বেশ খানিকটা বাড়ানোর সুযোগ ছিল বলে মনে করি।
মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে আসছে বছরে খাদ্য ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে। এই বাস্তবতার প্রতি সংবেদনশীলতার জায়গা থেকেই এবারের সামাজিক সুরক্ষা বাজেটে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় তিনটি কর্মসূচিতে মোট আট হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ‘খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় কর্মসূচি’তে দুই হাজার কোটি টাকা এবং ‘খাদ্য ভর্তুকি’ বাবদ প্রায় দুই হাজার ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এগুলোর পাশাপাশি ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’ শিরোনামের নতুন কর্মসূচিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রায় তিন হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এসব খাদ্য কর্মসূচির একটি অংশ রপ্তানিমুখী শিল্প শ্রমিকদের জন্য দেওয়া যায় কি না, তা ভাবা যেতে পারে। মালিকদের সঙ্গে সমঝোতা করে সিএসআর কর্মসূচির আওতায় এই কম দামের খাদ্যের প্যাকেট সপ্তাহ শেষে কি দেওয়া যায় না? কর্মীর বেতন থেকে ভর্তুকি সমন্বিত মূল্য ডিজিটালি নিশ্চয় কেটে নেওয়া সম্ভব।
নতুন বছরের বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের জন্য ২৫টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের আওতায় প্রায় ৪২ হাজার ২০৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট বাজেটের ৫.৩০ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ বাবদ বরাদ্দ ছিল প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা। ফলে বলা যায়, নতুন বছরে এ খাতে বরাদ্দ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
২০২০-২১ থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিবছরই জাতীয় বাজেটে জলবায়ু সম্পৃক্ত বরাদ্দ গড়ে ১৬.৪৭ শতাংশ হারে বেড়েছে। তবে মোট বাজেটে এ খাতের অংশ অত বেশি হারে বাড়েনি (বছরে গড়ে ৫.৬২ শতাংশ হারে বেড়েছে)। তবু জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার জন্য জাতীয় বাজেটে এমন ধারাবাহিক নীতি-মনোযোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
এখনকার বাস্তবতার বিবেচনায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি জলবায়ু সহিষ্ণু কৃষির বিকাশের স্বার্থে কৃষি ভর্তুকিও বিশেষ বিবেচনার দাবি রাখে। দেখা যাচ্ছে যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কৃষি ভর্তুকি বাবদ ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং কৃষি ইনপুটস আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির সাপেক্ষে এই ভর্তুকির পরিমাণ আরো বাড়ানোর প্রস্তুতি থাকা দরকার। ২০২৩-২৪-এর প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি ভর্তুকিতে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও সংশোধিত এই বরাদ্দের পরিমাণ বেড়ে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা হয়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরজুড়েই সম্ভবত আমাদের কঠিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক বাস্তবতা মোকাবেলা করে এগোতে হবে। তবে সামষ্টিক অর্থনীতির গতি-প্রকৃতির প্রতি নজর রেখে যথাযথ নীতি গ্রহণ ও তার কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পারলে এই সংকট নিশ্চয় কাটিয়ে ওঠা যাবে। প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা থেকেই এমন নজির মেলে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি গ্রহণ ও তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ একই ধাঁচের রাজস্বনীতি (বাজেট) প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে তারা দ্রুতই সাফল্যের মুখ দেখেছে। পাশাপাশি তারা মুদ্রা বিনিময় হারকেও বাজারভিত্তিক করেছে। বাংলাদেশও সে পথেই এগোচ্ছে। তাই সংকট উত্তরণের বিষয়ে আশাবাদী হওয়াই যায়। তবে শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতা থেকে বিশেষভাবে যা শিক্ষণীয় তা হলো মুদ্রা অবমূল্যায়নের কারণে কম ডলার খরচ করেই পর্যটক আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে তাদের সাফল্য।
বলে রাখা ভালো, শ্রীলঙ্কায় যাওয়া পর্যটকদের বড় অংশই ভারতীয়। কাজেই পর্যটন খাত বিকশিত করার মতো যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া গেলে বাংলাদেশেও ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে পর্যটকের আনাগোনা নিশ্চয় বাড়ানো সম্ভব। আমাদের টাকার মানও তো কমেছে। তাহলে পাশের দেশের বাড়তি পর্যটকদের নিরাপত্তা, আবাসন ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের ছোঁয়া দিয়ে কেন আকর্ষণ করা যাবে না?
কার্যকরভাবে বিরাজমান ডলার সংকট মোকাবেলার ওপরই বহুলাংশে নির্ভর করছে নতুন অর্থবছরে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য কতটা সুরক্ষিত থাকবে। এ ক্ষেত্রে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রবাহকে বলশালী করাই সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হতে পারে। আশার কথা, বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ কার্যক্রমের কারণে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বিনিময় হার প্রায় কাছাকাছি হয়ে গেছে।
আশা করি, এর ফলে প্রচলিত প্রবাস আয়ের প্রবাহ আরো বাড়বে। রপ্তানির আয়ের প্রবাহও বাড়বে। এরই মধ্যে এই দুটি খাতে স্বস্তির সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। যে প্রবাসীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অস্থায়ীভাবে শ্রমিক-পেশাজীবী হিসেবে কাজ করতে গেছেন, তাঁরা যেন তাঁদের আয়গুলো ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে নিয়মিত দেশে পাঠাতে উৎসাহিত হন, তা নিশ্চিত করতে হবে। সে জন্য নগদ সহায়তা ছাড়াও গৃহঋণ, পেনশন সুবিধা, শিক্ষা উপবৃত্তি, পরিবহন সুবিধাসহ নানা ধরনের প্রণোদনা দেওয়া জরুরি।
দ্বিতীয়ত, যে প্রবাসীরা স্থায়ীভাবে অন্য দেশে বসবাস করতে শুরু করেছেন, তাঁরা যেন দেশে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হন, সে লক্ষ্যে দেশে তাঁদের জন্য কাস্টমাইজড ডলার বন্ডের ডিজিটাল সেকেন্ডারি মার্কেট দ্রুতই উদ্ভাবন এবং পুরনো বন্ডগুলোর সিলিং তুলে দেওয়ার মতো উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
সব মিলিয়ে বিদ্যমান বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মতো একটি বাজেটই নতুন অর্থবছরে আমরা পেয়েছি। এটিও সত্য যে বাস্তবানুগ এই বাজেটটি আরো বেশি ন্যায়ানুগ হতে পারত। সর্বোপরি বিদ্যমান সংকট কাটিয়ে দেশকে আবার বলশালী প্রবৃদ্ধির পথে সচল করতে সংকোচনমুখী এই বাজেটটি বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ দক্ষতা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতির মধ্যে যথাযথ সমন্বয় নিশ্চিত করা একান্তভাবে কাম্য। বাজেট প্রণেতারা এ বছর আরো প্রবৃদ্ধির চেয়ে সংকোচনমূলক বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে ম্যাক্রো অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে নজর দিয়েছেন। আরো কিছুদিন এই কৌশলটি অব্যাহত রাখার দরকার রয়েছে।
লেখক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর