চাঁদপুর সদরে জুমার নামাজ শেষে মসজিদের ভিতরেই চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ইমামকে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া বলেন, সদর উপজেলার প্রফেসর পাড়া মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় খতিব আ ন ম নূর রহমান মাদানীকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নূর রহমান উপজেলার দক্ষিণ গুনরাজদী এলাকার মৃত মাওলানা জামাল উদ্দিন ছেলে। প্রফেসর পাড়া মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদের তিনি প্রতিষ্ঠাতা ইমাম। তিনি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন।
আটক মো. বিল্লাল হোসেন (৫০) চাঁদপুর শহরের বকুলতলা এলাকার মৃত আইয়ুব আলী ছেলে। তিনি কাঁচামালের ব্যবসায়ী।
নূর রহমান মাদানীর ছেলে আফনান তাকি বলেন, “আমি জানতে পেরেছি, নবী করিম (সা:) সম্পর্তিক কোনো একটি বিষয় নিয়ে বিল্লাল হোসেন জুমার নামাজ শেষে সরাসরি মসজিদে ঢুকে আমার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে। মূলত কী কারণে ওই ব্যক্তি এত বড় ঘটনা ঘটিয়েছেন বুঝতে পারছি না।”
হামলাকারী বিল্লাল হোসেন
মসজিদের ইমাম মাওলানা মাহবুব হাসান বলেন, “হুজুর (নূর রহমান) জুমার নামাজের বয়ান শেষ হওয়ার পর বিল্লাল কোনো একটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে থাকা লোকজন তাকে কথা বলতে দেননি। পরে তিনি নামাজে বসে গেছেন।
“নামাজ শেষে হুজুর বের হওয়ার সময় বিল্লাল চাপাতি নিয়ে মাথায় আঘাত করে। আকিদাগত বিষয় নাকি ধর্মীয় কোনো আলোচনা নিয়ে হামলা করেছে সেটা বলতে পারছি না।”
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সৈয়দ আহমদ কাজল বলেন, “নূর রহমানের কানের গোড়ায় চাপাতি দিয়ে কোপ দেওয়ায় সেলাই লেগেছে ১২টি। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
আটক বিল্লাল হোসেন দাবি করেছেন, “আমার দৃষ্টিতে তিনি নবীজিকে (সা.) অপমান করেছেন।”