সম্প্রতি এমন এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের একটি রাজ্যে। তুতিকোরিন জেলার বাসিন্দা চিথিরাই সেলভিন (৭৯) একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। স্ত্রী এবং চার সন্তান রয়েছে তাঁর। তবে বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গেই তিনি থাকেন। সেই বাড়িতেই চুরির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেলভিন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গত ১৭ জুন চেন্নাইয়ে তাদের এক ছেলের বাড়িতে গিয়েছিলেন।
একটি চুরির ঘটনায় চোরের কীর্তি হতবাক করে দিল পুলিশ থেকে শুরু করে সকলকেই। চুরি করা টাকা জিনিসপত্র এক মাসের মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিল চোর। গয়না-সহ প্রায় ৬০ হাজার নগদ টাকা চুরি হয়েছে একটি বাড়ি থেকে।
সেখানেই একটি চিরকুট লিখে চুরির জিনিসপত্র ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এই ‘সৎ চোর’। শুধু তাই নয়, কেন চুরি করেছে? সেই কারণও জানিয়েছেন চোর। ঘটনাটি ঘটেছে তুতিকোরিন জেলায়। সেখানে অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষকের বাড়িতে চুরি হয়েছে। চোরের এমন কাণ্ড দেখে তাজ্জব হয়েছেন সকলেই।
জানা গিয়েছে, তুতিকোরিন জেলার বাসিন্দা চিথিরাই সেলভিন (৭৯) একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। স্ত্রী এবং চার সন্তান রয়েছে তাঁর। তবে বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গেই তিনি থাকেন। সেই বাড়িতেই চুরির ঘটনা ঘটেছে।
গত ১৭ জুন চেন্নাইয়ে তাদের এক ছেলের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তবে তার আগে ঘর পরিষ্কার রাখার জন্য একজন পরিচারিকা নিয়োগ করেছিলেন। তারপর ছেলের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ফলে বাড়ি ফাঁকা ছিল।
এদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই পরিচারিকা কাজে গিয়ে দেখতে পান ঘরের দরজা ভাঙা। তখন ভেতর থেকে তিনি বুঝতে পারেন চুরি হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশকে খবর দেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ তারা পুরো বাড়িটি খতিয়ে দেখে। এরপর ওই বাড়ির মালিক তথা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের সঙ্গে ফোনে কথা বলে পুলিশ। তাতে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ২ জোড়া সোনার কানের দুল এবং রুপোর গহনা সহ নগদ ৬০ হাজার টাকা বাড়ি থেকে চুরি হয়েছে।
এরপরেই তদন্তকারীরা একটি খামের ভিতরে চিরকুট খুঁজে পান। পুলিশ সেটি পড়ার পরে কার্যত হতবাক হয়ে যায়। আসলে সবুজ কালিতে চিরকুটে তামিল ভাষায় লেখা ছিল, ‘আমাকে ক্ষমা করুন। আমি এক মাসের মধ্যে সবকিছু ফিরিয়ে দেবো। আমার বাড়িতে একজন অসুস্থ রয়েছে। সেই জন্য চুরি করতে বাধ্য হচ্ছি।’
সাধারণত অতীতে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে দেখা গিয়েছে কখনও চুরি করতে গিয়ে মনের সুখে পারফিউম মেখে পালিয়েছে চোর, অথবা ঘুমিয়ে পড়েছে অথবা ফ্রিজ থেকে খাবার শেষ করে দিয়েছে। তবে চোরের এরকম কীর্তিতে হতবাক পুলিশ। অনেকেই বলছেন এ হল ‘সৎ চোর’। আপাতত এই চুরির ঘটনায় কে বা কারা জড়িত? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে পরিচারিকাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।