বুধবার ১৩ আগস্ট ২০২৫ ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২
বুধবার ১৩ আগস্ট ২০২৫
কেন্দুয়ায় তালাক দেওয়া প্রাক্তন স্বামীর এসিডে ঝলসে গেছে স্ত্রী
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪, ৪:৫৮ PM
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় তালাক দেওয়ায় প্রাক্তন স্বামীর এসিডে হাফসা আক্তার (৩২) নামের এক নারীর শরীর ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) রাতে ব্রাহ্মণজাত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

হাফসা আক্তার উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণজাত গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের মেয়ে।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে উপজেলার মাসকা গ্রামের হুমায়ূন কবীরের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় হাফসা আক্তারের। বিয়ের কিছুদিন পর হাফসা তার স্বামীর শারীরিক অক্ষমতার বিষয়টি জানতে পারেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। প্রায় সময়ই হাফসাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো হুমায়ূন।

স্বামীকে চিকিৎসা করার তাগাদা দিলেই হাফসার উপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যেতো। এথেকে পরিত্রাণ পেতে গত ঈদ-উল-আজহার পরদিন বাবার বাড়িতে চলে আসেন হাফসা এবং স্বামীকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। 

গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে হাফসা তার স্বামী হুমায়ূনকে তালাক দেন। তালাকের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি হুমায়ুন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হুমায়ুন শুক্রবার রাতে খাবার খাওয়ার সময় হাফসাকে ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে এসিড নিক্ষেপ করে। পরে হাফসাকে হত্যার হুমকি দিয়ে হুমায়ুন চলে যায়। এতে চোখ, মুখ, গলা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ হয় হাফসা আক্তারের। 

পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

দগ্ধ হাফসা আক্তার বলেন, আমার প্রাক্তন স্বামী বেশ কিছুদিন যাবত আমার শরীরে এসিড দিয়ে জ্বলসে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। আমি তাকে তালাক দেওয়ার পর সে তাই করেছে। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।

স্থানীয় উপজেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কল্যাণী হাসান বলেন, এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পুলিশ ওই নরপশু হুমায়ুনকে গ্রেফতারের দাবি করেন। সেই সাথে তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিও জানান তিনি। 

কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.এ এস এম শরীফুজ্জামান বলেন, হাফসা নামের এক নারী শুক্রবার রাতে শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আসে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। 

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.এনামুল হক পিপিএম  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত