কোটা সংস্কার আন্দোলনে আজ শনিবার (১৩ জুলাই) সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনলাইনে প্রতিনিধি সভা ও বিকেলে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। পরে সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন।
গতকাল শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিলে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু বাকের মজুমদার।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) অনেক জায়গায় আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা চালিয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সামনে যদি আমাদের কোনো সহকর্মীর সঙ্গে হামলা হয় তাহলে এর ফল ভালো হবে না। সরকারকে একদফা আমলে নিয়ে দ্রুত দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান আবু বাকের মজুমদার।
ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ঢাবি শিক্ষার্থী বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র আমাদের আবেগ নিয়ে ফুটবল খেলছে। একবার সংসদ, একবার হাইকোর্ট পাঠাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের আবেগ বুঝতে হবে। সংসদে আইন পাশ করে কোটা সংস্কার না করলে আন্দোলন চলবে।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, যারা কখনোই চাকরি করবে না, তারা প্রশ্ন তুলছে আমাদের আন্দোলন নিয়ে। যতগুলো প্রতিষ্ঠানে রক্ত ঝরছে তার তীব্র নিন্দা জানাই। যেখানেই হামলা হবে, আমরা দাঁতভাঙা জবাব দেব। আমাদের হারানোর কিছু নেই। আমাদের একমাত্র চাওয়া একটি মেধা।
আব্দুল কাদের বলেন, আমরা এসেছিলাম দেশের হাল ধরতে। আমাদের এক দফা মেনে নিন। পড়ার টেবিলে ফেরত যেতে দিন।
২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায়ের মূল অংশ গতকাল প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটা পদ্ধতির পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারবে। কোটা পূরণ না হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে পারবে।