ভারতে পালিয়ে যাবার সময়ে পিরোজপুরের কৃতি সন্তান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ইসহাক আলী খান পান্নার মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার বিকেল থেকেই ফেসবুকে সাবেক এই নেতার ছবি সম্বলিত পোষ্ট দিয়ে শোক জানিয়েছে পান্নার বন্ধু-বান্ধবসহ রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা।
রাজনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোররাতে সিলেটের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং যাওয়ার পর পাহাড় থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
ইসহাক আলী খান পান্নার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও তার বড় ভাইয়ের শ্যালক জসিম উদ্দিন বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, সিলেটের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন পান্না। সেখানে মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে পাহাড়ে তার মৃত্যু হয়। তবে তার মৃত্যু গুলিতে নাকি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শিলংয়ের একটি থানায় তার মরদেহ আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।
ইসহাক আলী খান পান্নার বড় ভাইয়ের ছেলে মো. কামরুজ্জামান খান নাদিম বাংলাদেশ বুলেটিনকে জানান, চাচা মারা গেছেন। আমরা যাচ্ছি পরে আপনাকে সব জানাবো। তবে তিনি কোথায় যাচ্ছেন তা নিশ্চিত করেননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, ভারতে পালানোর সময় পান্নার সঙ্গে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনও ছিলেন। পান্না যখন স্ট্রোক করেন তখন ওই আওয়ামী লীগ নেতা তাকে ফেলে পালিয়ে যান। পরে বিএসএফের সদস্যরা তার মরদেহ উদ্ধার করেন।
পান্নার আপন ভাগ্নে ও কাউখালীর চিড়াপাড় সাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়েকুজ্জমান মিন্টু জানান, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে পাহাড় থেকে পা পিছলে পড়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। সেখান একটি থানায় তার মরদেহ আছে। তবে কবে কখন কিভাবে তারা শিলং পৌঁছালেন এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ইসহাক আলী খান পান্না ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। ২০১২ সালের সম্মেলনের পর ইসহাক আলী খান পান্না আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক হন।