নারী সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুর শহরে একদল শিক্ষার্থী থানায় এসে হট্টগোল বাঁধানোর এক পর্যায়ে জ্ঞান হারান ওসি। এ সময় এক এসআইকে লাঞ্ছিত করার ঘটনাও ঘটেছে।
গত সোমবার চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডে এক নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন তার মেয়ে। খবর পেয়ে ওই মেয়ের সহপাঠীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। সেখানে বিএনপির কর্মী-সমর্থকরাও ছিলেন।
এ সময় পুলিশের সামনেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন বিএনপি কর্মী-সমর্থক ও শিক্ষার্থীরা।
পরে এ ঘটনায় জেরে একদল ছাত্র চাঁদপুর মডেল থানায় ছুটে আসেন। ওসি আলমগীর হোসেনের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়। পুলিশ অভিযানে বের হলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা পালিয়ে যান।
ছাত্ররা গতকাল মঙ্গলবার পুনরায় থানায় এসে একই বিষয় নিয়ে হট্টগোল করেন।
এক ভিডিওতে দেখা যায়, মডেল থানার প্রধান দরজার সামনে ওসি আলমগীর হোসেনকে ঘিরে ধরে হট্টগোল করছেন কিছু শিক্ষার্থী।
এক পর্যায়ে থানার ভেতর থেকে এসআই আব্দুস ছামাদকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বাইরে বের করে আনেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ওই এসআইয়ের ওপর চড়াও হন। তবে কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে রক্ষার চেষ্টা করতেও দেখা গেছে।
এ সময় ওসি আলমগীর হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে থানায় ছুটে আসেন এসপি।
শিক্ষার্থীদের একাংশ পরে থানায় এসে এসআই আব্দুস ছামাদের কাছে ক্ষমা চান। জবাবে এসআই ওই শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরতে বলেন।
এদিকে, ওসির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আসিবুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “ওসি সাহেব অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। তার রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত এসপি সুদীপ্ত রায় বলেন, “থানার কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। সমস্যা হলে সমাধানও রয়েছে। তবে পুলিশ বাহিনীকে তার স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।”