উর্ধতন কর্মকর্তা কর্তৃক চাকুরী স্থায়ীকরণ ও বিয়ের প্রলভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার অস্থায়ী স্টোর ডিপার্টমেন্টের সাবেক অফিস সহকারী শিরিন আক্তার। মঙ্গলবার দুপুরে নীলফামারী প্রেসক্লাবের হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
শিরিন আক্তার সাংবাদিকদের জানান, আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলাদেশ রেলওয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর (টিসি) মো:আনসার আলীর সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়, এর পড়ে মোবাইল ও হোয়াটসঅ্যাপে কথা হত নিয়মিত। একপর্যায়ে তিনি চাকুরী স্থায়ীকরণের জন্য ১০ লক্ষ টাকা জোগার রাখতে বলেন। ও তার সাথে দেখা করতে বলেন। বিয়ে করে জীবন সঙ্গী করার কথা বলে আনসার আলী ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর সৈয়দপুর থেকে রাজশাহীতে ডাকেন শিরিন আক্তারকে।
শিরীন আক্তার রাজি হন আনসারের প্রস্তাবে। স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে রাজশাহীর ওয়ে হোম হোটেলে রাত্রি যাপনের সময় জুসের সাথে কোন কিছু মিশিয়ে আমাকে খাইয়ে গড়ে তুলেন বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক। ২০২৫ সালের ২৩ জানুয়ারি শিরিন আক্তার কে বিয়ে করবেন বলে আনসার আলী চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন। চট্টগ্রামের একটি হোটেলে রাতও কাটান তারা।
পরদিন বিয়ের কথা উঠাতেই বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে চট্টগ্রাম থেকে শিরীন আক্তার কে আবার সৈয়দপুরে পাঠিয়ে দেয় আনসার আলী। এরপর একে একে সব যোগাযোগ মাধ্যম ব্লক করে দেন আনসার আলী। এ সময় নীলফামারী প্রেসক্লাবের হলরুমে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।
স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে রেল মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন শিরিন আক্তার। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: ফাহিমুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় ।
লিখিত অভিযোগে শিরীন আক্তার বলেন, আনসার আলী আমাকে বিয়ে করবে বলে প্রতারণা মুলক ভাবে ধর্ষণ করে যা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ সংক্রান্ত হোটেলে অবস্থানের স্থিরচিত্র, হোয়াটসঅ্যাপ এর কথাবার্তার ইলাদি আছে। আমি বিচার প্রার্থী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বাংলাদেশ রেলওয়ে ডেপুটি ডিরেক্টর (টিসি) মো: আনসার আলী হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় জানান অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |