কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুলে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লার বিরুদ্ধে। দান বাক্সের টাকা চুরির ঘটনায় ইতিমধ্যে এলাকাবাসির মাঝে অসন্তুস বিরাজ করছে। কয়েক দফা আন্দোলনের পর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে।
এলাকাবাসি জানায়, ‘খুরুশকুল ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ‘মামুন জামে মসজিদ’র দান বাক্সে ২০১৫ সালের আগে টাকা উঠতো প্রায় ১৫ থেকে ১৬ লাখ। কিন্তু মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ মোতাওয়াল্লীর দায়িত্ব নেবার পর থেকে লুট হতে শুরু করে মসজিদের দান বাক্সের টাকা।
অভিযোগে দায়েরকৃত একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ‘২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত মসজিদের ফান্ডে টাকা জমা ছিল ৫০ লাখ ২৭ হাজার ৯৯৫ টাকা। ওই মাসের ১৯ তারিখে মোতাওয়াল্লী হিসেবে দায়িত্ব নেন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। তারপরের ১০ বছরে তিনি টাকা উত্তোলন দেখায় ২৮ লাখ ৭৭ হাজার ৬৩২ টাকা। সে হিসেবে ফান্ডের মোট টাকা ছিল ৭৯ লাখ ০৫৬২৭ টাকা। যেখান থেকে তিনি উত্তোলন দেখিয়েছেন ৪৪ লাখ ৪১ হাজার ৮৮৫ টাকা। মসজিদের প্রফিট বাবদ জমা দেখানো হয় ১০ লাখ ৭২ হাজার ৫৩১ টাকা। সে হিসেবে আরও জমা থাকার কথা ৪৫ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৩ টাকা। কিন্তু এই টাকার কোন হিসেব বা হদিস পাচ্ছে মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসি।
অভিযুক্ত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ নতুন নয়। তিনি ও তার ভাই রহমত উল্লাহসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন মসজিদের গেইটের ও মসজিদের আঙ্গিনায় দুইটি দান বক্স খুলে আনুমানিক ১,৫০,০০০/- টাকা দান বক্স হতে চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর দেখলে তাদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে তারা দানবক্স হতে চুরিকৃত কিছু টাকা ফেলে পালিয়ে যায়। ফেলে যাওয়া টাকা স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনের উপস্থিতিতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় গণনা করে চোরাই যাওয়া উদ্ধারকৃত মোট ৯৬,২৮০/- পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত টাকা মসজিদ পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও স্থানীয় সামাজিক গণ্যমান্য লোকজনসহ সদর থানায় জমা প্রদান করে। বাকী সব টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৫ সালে মসজিদের ২ দুই লক্ষ টাকা চুরি করে আত্মসাৎকৃত টাকা অভিযুক্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল্লাহ তার পিতার মেজবানে ব্যয় করে।
উক্ত বিষয়ে ওইসময় স্থানীয়ভাবে অনেক প্রতিবাদ, পোস্টারিং ও তদন্ত কমিটি হয় এবং টাকা, আত্মসাতের বিষয় স্বীকার করে। সেই সাথে আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করলেও অদ্যবধি মসজিদের সেই টাকা ফেরত দেয়নি। এই বিষয়ে উক্ত মসজিদ পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ জানান, 'মোঃ আবদুল্লাহ ও তার ভাই রহমত উল্লাহসহ আরো কয়েকজন পরস্পর যোগসাজশে দূর্লোভে বশবর্তী হয়ে এই রকম জঘন্য চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোতওয়াল্লী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিচ্ছে তারায় সার্টিফিকেট মামলার আসামী এবং এলাকার বিভিন্ন মানুষের টাকা আত্মসাত করেছে। এছাড়া ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের কথা অস্বীকার করেছেন।