জাবি ও শাবিপ্রবির পৃথক দুই বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশনের (পেট্রোবাংলা) পৃথক দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মাধ্যমে শিল্পের সঙ্গে গবেষণা ও গবেষকদের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও সুসংহত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পেট্রোবাংলা’র পরিচালক (প্রশাসন) মো: আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পেট্রোবাংলা’র চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার। উক্ত অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতিসহ অধ্যাপকবৃন্দ ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, পেট্রোবাংলার পরিচালকবৃন্দসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা) এর বোর্ড রুমে পেট্রোবাংলা এবং ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পৃথক দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। পেট্রোবাংলার পক্ষে সচিব (ঊর্ধ্বতন মহাব্যবস্থাপক) বেগম রুচিরা ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুর রব এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ ইসমাইল হোসেন স্বাক্ষর করেন।
সমঝোতা স্মারকের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় দুটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পেট্রোবাংলার তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে গবেষণা কার্যক্রম ত্বরান্বিত হবে, যা ভবিষ্যতে শিল্পায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
জ্ঞান, প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়, জনবলের প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট, যৌথ গবেষণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ, সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ আয়োজনের মাধ্যমে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিল্পে গবেষণাগার এবং সফটওয়ার ব্যবহারের সুযোগ, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ড্রিলিং সাইট, সাইসমিক সার্ভে, প্রসেস প্ল্যান্ট, কয়লা খনি পরিদর্শনের সুযোগ, প্রয়োজনীয় তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গবেষণালব্ধ জ্ঞান শিল্পে বাস্তবিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা, অনুরূপভাবে শিল্পের বাস্তব অভিজ্ঞতা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করবে।
গবেষণার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় দুটি পেট্রোবাংলা ও দেশের জন্য গোপনীয় বা সংবেদনশীল কোনো তথ্য ব্যতিরেকে অন্যান্য তথ্য ব্যবহার করতে পারবে।
এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ৫ বছরের জন্য কার্যকর হবে, যা ৫ বছর পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য নবায়ন করা যাবে। বিশ্বব্যাপী জ্ঞান, প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞতা বিনিমিয় এর জন্য শিল্প এবং গবেষণকদের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক স্থাপন খুবই প্রচলিত একটি বিষয়। এই সম্পর্ক শুধুমাত্র জ্ঞান, প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞতা বিনিমিয়ের লক্ষ্যে দাতা ও গ্রহিতার সম্পর্ক নয় বরং পারষ্পরিক উন্নয়ন এবং সহযোগিতার অন্যতম পন্থা বলে সারা বিশ্বে পরিচিত।