‘ফ্রেমবন্দী ৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পূর্বাপর’ নামে দেশের প্রথম এক্সিবিশন বা প্রদর্শনী করে সাড়া ফেলেছে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টাশালী অডিটোরিয়ামে এই প্রদর্শনীর শেষ দিন। ৭ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ৮ ডিসেম্বর এটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে দর্শনার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলায় আরও একদিন বাড়ানো হয় প্রদর্শনী।
প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে জুলাই শহীদদের রক্তমাখা চিত্র। একই সাথে আওয়ামী লীগের সময়ের দুর্নীতি ও দুঃশাসন। জুলাই বিপ্লবের বিভিন্ন শহীদ এবং ছাত্রশিবিরের ভূমিকা নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি বারবার সম্প্রচার করা হচ্ছে। সব শহীদের নাম নিয়ে লেখা হয়েছে বাংলাদেশের মানচিত্রও। একটি দেয়ালজুড়ে সব শহীদদের নাম লিখে মাঝখানে ‘জন্মভূমি অথবা মৃত্যু’ কথাটি বড় করে লেখা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর পাশাপাশি সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে আসতে দেখা গেছে।
ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ বলেন, জুলাই বিপ্লব সকল বাংলাদেশি নাগরিকের। আমরা চেষ্টা করেছি গত ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট শাসনের প্রত্যেক ভিকটিমকে এখানে ফুটিয়ে তুলতে। এখানে যেমন বেগম খালেদা জিয়াকেও রাখা হয়েছে তেমনি জামায়েত নেতৃবৃন্দ যারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তাদেরও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এটা এই কারণেই, যাতে বাংলাদেশে সেই ফ্যাসিস্ট কখনোই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাক মাজহারুল ইসলাম বলেন, শহীদ ও আহতদের রক্তের ওপর দিয়ে আমরা আজকে এই অবস্থায় এসে পৌঁছেছি। শহীদের শক্তদানের মহৎ উদ্দেশ্য ছিল দেশের উপরে জেঁকে বসা স্বৈরাচারের পতন এবং বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ। ৫ আগস্ট শহীদদের একটি আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হলেও বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ এখনো বাকি। শহীদদের আকাঙ্ক্ষিত সেই বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য প্রয়োজন তাদের চেতনাকে জাগরুক রাখা। আমরা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির শহীদদের সেই চেতনা চির জাগরূক রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এই আয়োজন করেছি।