আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে আঘাত হানা জোড়া ভূমিকম্পের প্রথমটির রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪।
যে ব্যাপক শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে মিয়ানমারে, তাতে মোট নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)। নিজস্ব ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, “যে মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে, তাতে আমারা ধারণা করছি যে মিয়ানমারের বিস্তৃত অংশ জুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং এক হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।”
ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারের হালনাগাদ অবস্থা সম্পর্কে এখনও বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি; তবে থাইল্যান্ডে ক্ষয়ক্ষতির বিভিন্ন চিত্র, ভিডিও ও তথ্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে এবং এসব থেকে বোঝা যাচ্ছে যে ভূমিকম্পটি বেশ বিধ্বংসী ছিল।
মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার ইতোমধ্যে রাজধানী নেইপিদো সহ ৬টি শহর ও অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। বাকি ৫টি অঞ্চল হলো অঞ্চলগুলো হলো সাগাইং, মান্দালয়, ম্যাগওয়ে, বাগো, পূর্ব শান।
এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৯ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। গুরুতর আহত হয়ে হাজার হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এছাড়া অনেকে ধসে পড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন।
বার্তাসংস্থা আনাদোলু স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খিত তিতের বরাতে জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মান্দালয় প্রদেশের ফো শিং মসজিদ ধসে পড়েছে। এছাড়া সেখানে আরও অন্তত তিনটি মসজিদ ভেঙে পড়েছে। মসজিদ ধসে পড়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ জন মারা গেছেন।
উদ্ধারকর্মী বলেছেন, “আমরা যখন নামাজ পড়ছিলাম তখন এটি ধসে পড়ে। তিনটি মসজিদ ধসে পড়েছে। মানুষ আটকে আছেন। এখন পর্যন্ত অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেশি হতে পারে। শি ফো শিং মসজিদও ধসে পড়েছে।”
এছাড়া তুয়াঙ্গো সিটির মঠ ধসে পাঁচ উদ্বাস্তু শিশু নিহত হয়েছে। তারা সেখানে আশ্রয়ে ছিল। সময় যত গড়াচ্ছে চারদিক থেকে ততই মৃত্যুর তথ্য আসছে।