মিঠাপুকুরে সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ করে বালুচাপা দিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করেছেন। বিক্ষুব্ধ জনতা থানার ওসিকে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে তাকে উদ্ধার করা হয়।
গতকাল রোববার সকালে উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নে অভিযুক্তের বাড়ির সামনে বালুর নিচ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কাঠমিস্ত্রি ফজলু মিয়াকে (৪৫) আটকের পর পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, সকাল ৯টার দিকে অভিযুক্ত ফজলু কৌশলে শিশুটিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এসময় শিশুটি চিৎকার করলে তাকে হত্যার পর মরদেহ বালিচাপা দিয়ে রাখে। শিশুটিকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ফজলুর বাড়ির ভেতরে বালির নিচ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয়রা ফজলুকে আটক করে রাখেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে জড়ো হয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত ফজলুর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে গাছপালা কেটে ফেলেন।
মিঠাপুকুর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বিক্ষুব্ধদের থামাতে চাইলে তারা তার ওপর চড়াও হন। বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে ধাওয়া করে একটি বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখেন। দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টার পর পুলিশ সুপার, ইউএনও, সেনাবাহিনী, সিআইডিসহ বিভিন্ন দপ্তরের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়।
শিশুটির বাবা বলেন, আমি কাজ করছিলাম, একজন আসি কইলো- ‘দেখো তোমার বেটির কী হইছে।’ দৌড়ায়ে যায়া দেখ্যো- মোর বেটিক মারি, বালু দিয়া ঢাকি থুইছে।’
রংপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন বলেন, অভিযুক্তের বাড়িতে এলাকাবাসী অগ্নিসংযোগ করে। ওসি সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আশ্বস্ত করে ওসিকে নিয়ে আসি।
মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিকাশ চন্দ্র বর্মন বলেন, ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডারসহ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এসময় উত্তেজিত জনতাকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিচার নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়ে শান্ত করা হয়। অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।