বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপংকর দাশ।
দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বপ্নের ডানায় ভর করি, শিশুশ্রমের শৃঙ্খল ছিঁড়ি, এগিয়ে চলি দৃপ্ত পায়ে, আশার আগুন বুকে জ্বালি’।
সভায় প্রধান অতিথি বলেন, কেবল তাৎক্ষণিক সমাধান না খুঁজে শিশুশ্রম প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধানের পথ বের করতে হবে। সুনির্দিষ্ট এলাকা ও সেক্টরকে লক্ষ্য করে জরিপের মাধ্যমে শ্রমে নিয়োজিত শিশুদের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। সে অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদের জন্য শিক্ষা, পুনর্বাসন-সহ তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। শ্রমে নিযুক্ত শিশুদের পরিবারে প্রাপ্তবয়ষ্ক কেউ বেকার থাকলে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। পরিবারগুলো আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হলে শিশুশ্রমের হার কমবে। এছাড়াও শিশুশ্রমিক ও তাদের পরিবারের প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কর্মমুখী প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করতে হবে। উপযুক্ত ও কার্যকর প্রশিক্ষণ নিলে পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া সহজতর হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর ১২জুন বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস পালন করা হয়। বিশেষ কারণে বাংলাদেশে কেবল এবছর ১২ জুনের পরিবর্তে ১৯ জুন দিবসটি পালন করা হচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৮.৭ নম্বর সূচক অনুযায়ী শিশুশ্রম নিরসনে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত ৪৩টি ঝুঁকিপূর্ণ খাতে শিশুদের নিয়োগ করা আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ নিষেধ।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপমহাপরিদর্শক সানতাজ বিল্লাহ এর সভাপতিত্ব সভায় শ্রম দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মোঃ হাফেজ আহাম্মদ মজুমদার, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক মোঃ শাহিনুর রহমান, শ্রম দপ্তরের সহকারী পরিচালক মাহবুব আলম, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি-সহ জেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটির সদস্যরা অংশ নেন।
খুলনা জেলা প্রশাসন এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এর আগে দিবসটি উপলক্ষ্যে খুলনা কালেক্টরেট চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়।