সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের কাজের ক্ষেত্রও বাড়ছে। নিত্য নতুন এসব কর্মক্ষেত্রে নিজেদের যুক্ত করে অনেকেই সফলভাবে তাদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছেন। আমাদের দেশে তেমনি একটি কর্মক্ষেত্র হচ্ছে ইন্টেরিয়র ডিজাইন।
বর্তমানে আমাদের দেশের তরুণরা এ ক্ষেত্রটিতে নিজেদের যুক্ত করে গড়ে তুলছে অন্যতম একটি সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার। বিভিন্ন আর্কিটেকচারাল কোম্পানি , রিয়েল এস্টেট কোম্পানি, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম, ইন্টেরিয়র ডিজাইন ফার্ম, পেইন্ট কোম্পানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
দেশে ১০ হাজারের বেশি ছোট বড় ইন্টেরিয়র ফার্ম এবং ১ লাখের বেশি শ্রমিক এ খাতের উপর নির্ভরশীল। ফলে দেশের অর্থনীতিত ও বেকারদের কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তবে সম্ভাবনার পাশাপাশি এ খাতে রয়েছে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ, যা সমাধান করা না হলে এ খাত কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি লাভে ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন 'ইন্টেরিয়র ডিজাইনার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (আইড্যাব)'। এ বাস্তবতা সামনে রেখে শনিবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর ইকোনমিক জার্নালিস্ট ফোরামের অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলন শেষে আইড্যাব'র প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আইড্যাব'র প্রধান উপদেষ্টা শফিউল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আর্কিটেক্ট সজীব হাসান সহ অ্যাসোসিয়েশনর অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে ইন্টেরিয়র ডিজাইন খাতের বর্তমান অবস্থা ও সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়। বক্তারা বলেন, এ শিল্প বাংলাদেশের আধুনিক নগরায়ন এবং মানুষের মানসম্মত জীবনযাপনে জন্য অপরিহার্য। তবে ভ্যাট ও শুল্কের বোঝা, দক্ষ মানবসম্পদের অভাব, ম্যাটেরিয়ালস'র অস্বাভাবিক দাম এই খাতের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া এখাতে বাজার সিন্ডিকেটেরও উল্লেখ করা হয়।
বক্তারা আরও বলেন, দেশে ১০ হাজারের বেশি ছোট বড় ইন্টেরিয়র ফার্ম এবং ১ লাখের বেশি শ্রমিক এ খাতের উপর নির্ভরশীল। ফলে দেশের অর্থনীতিত ও বেকারদের কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সংবাদ সম্মেলনে আইডিএবি'র পক্ষ থেকে কিছু সমাধানের প্রস্তাব করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টেরিয়র ডিজাইন চালু করা, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা, অতিরিক্ত ভ্যাট ও শুল্ক কমানো, বিশেষ দক্ষতা বৃদ্ধি প্রকল্প চালুর জন্য সরকারি অনুদান দাবি।