ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই আগামী জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা আসবে, যে নির্বাচনে সকলেই ভোট দিতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়েও ভয়াবহ তথ্য রয়েছে। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনটি হবে অনেক ভালো নির্বাচন।’
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করেছে। এ সরকারের সংস্কার কার্যক্রম পরবর্তী সরকার এসে অবশ্যই ধরে রাখবে। বিশেষ করে আইনি সংস্কার, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও ডিজিটালাইজেশন। রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের কারণে কয়েক হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ হয়রানি থেকে মুক্তি পেয়েছে।
আইন উপদেষ্টা তার লিখিত বক্তব্যে বিগত এক বছরে আইন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত এক বছরে বিভিন্ন কার্যক্রম শেষ করেছে। সেগুলো হলো আইনি সংস্কার, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও ডিজিটালাইজেশন, হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং দৈনন্দিন কার্যক্রম।
তিনি বলেন, আইনি সংস্কারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩, সংশোধন অন্যতম। যা সংশোধন করে আইনটিকে ন্যায়বিচারের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হয়েছে। এই আইনে গুমকে মানবতাবিরোধী অপরাধের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তের অধিকার সুরক্ষা, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ এবং বিচার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচারের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী আপিল, সাক্ষী নিরাপত্তা এবং ভুক্তভোগীর ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে স্বতন্ত্র জুডিসিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে মেধা, সুযোগের সমতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।