চট্টগ্রাম থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল যাবে ঢাকায়৷ নানান পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর অবশেষে উদ্বোধন হলো বহুল প্রতীক্ষিত চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাইপ লাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহ।
শনিবার (আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অবস্থিত পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডেসপাস টার্মিনাল থেকে তেল সরবরাহের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
এই অত্যাধুনিক জ্বালানি তেল পরিবহন ব্যাবস্থার মধ্য দিয়ে দেশের জ্বালানি তেল নিরাপত্তায় বৈপ্লবিক পরিবর্তনের পাশাপাশি বিপুল অর্থ সাশ্রয় নিশ্চিত হবে বলে জানান উপদেষ্টা।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, প্রকল্প নির্মাণে বিদেশি ঠিকাদারিদের ওপর নিভর্শলতা কমানোর পাশাপাশি প্রকল্পগুলো ব্যয় সাশ্রয় ও দ্রুত বাস্তবায়ন করলে অপচয় ও দুর্নীতি কমবে।
তিনি আরো বলেন, ‘আগে পেট্রোলিয়াম প্রডাক্ট আমদানি খাতে চার-পাঁচজন বিড করতে পারত। আমরা এটা পরিবর্তন করেছি, ফলে এখন ১০-১২টি প্রতিষ্ঠান বিড করে। আমরা বছরে ১৪০০-১৫০০ কোটি টাকা সেভ করতে সক্ষম হয়েছি। এভাবে আমি যে তিনটি মন্ত্রণালয় দেখি সেখানে আমরা ৪৫ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছি।’ পাইপলাইন রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্ব দিতে হবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, কোনো সমস্যা হলে যাতে দ্রুত সমাধান করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ মেজর জেনারেল মু. হাসান-উজ-জামান। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান। বক্তব্য দেন বিপিসির পরিচালক ড. একেএম আজাদুর রহমান।
প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল সরবরাহের পেট্রোলিয়াম পাইপ লাইন নির্মাণের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকৌশলীরা। এই পাইপ লাইন ব্যবহার করে তিনটি তেল বিপণন কোম্পানি জ্বালানি তেল সরবরাহ করবে। এই পাইপ লাইনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লার বারুড়া হয়ে জ্বালানি তেল যাবে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল এবং ঢাকার ফতুল্লায়।