ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গত ১৩ মে রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে একজন তরুণ, সাম্য নিহত হন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে মেহেদী হাসান ও তার সহযোগীরা জড়িত ছিলেন। তারা মেহেদীর কাছ থেকে গাঁজা নিয়ে উদ্যানে খুচরা বিক্রি করতেন। সাম্য এবং তার বন্ধু মাদক বিক্রির বিষয়টি রোধ করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি শুরু হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধস্তাধস্তির সময় মেহেদী এবং তার সহযোগীরা সাম্যকে আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। ওই সময় সাম্যর বন্ধুদের সঙ্গে থাকা কিছু অনানুষ্ঠানিক ব্যক্তিও আহত হন। তবে তদন্তে জানা গেছে, আহতরা ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন না।
ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আসামিদের শনাক্ত করে। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, যারা ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত নয়, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, সংঘর্ষের মূল কারণ ছিল গাঁজা বিক্রির বিতর্ক এবং সাম্য ও তার বন্ধুদের গাইডলাইন না মানায় উত্তেজনা তৈরি হওয়া। পুলিশ ও আদালত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।