সূত্রাপুরে একটি হাসপাতালের সামনে আজ প্রকাশ্যে গুলিতে নিহত ব্যক্তির নাম–পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি পুরান ঢাকার একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিলেন।
আজ বেলা ১১টার দিকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে মামুনকে গুলি করে অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তি। এতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ জোনের উপ–কমিশনার (ডিসি) আহসান উদ্দিন সামি বলেন, নিহত সাইফ মামুন পুরান ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন-মামুন গ্রুপের সদস্য। তিনি একজন তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী।
তিনি জানান, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বেলা ১১টার দিকে বাইকে করে ২ জন দুর্বৃত্ত এসে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এরপর প্রথমে তাকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে অবস্থার অবনতি হতে থাকলে সেখান থেকে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক সাইফ মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগেও তার ওপর ২০২৩ সালে হামলা হয়েছিল। তখন এক পথচারী নিহত হয়েছিল।
সঙ্গে থাকা পরিচয়পত্র অনুযায়ী নিহত ব্যক্তির নাম তারিক সাইফ মামুন। তার স্ত্রী দাবি করেছেন, মামুন বিএনপির একজন কর্মী ও পাশাপাশি ব্যবসা করতেন। আদালতে আজ হাজিরা দিতে এসেছিলেন।
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেলের ওয়ার্ড মাস্টার মহিবুল্লাহ জানান, বেলা ১১টার দিকে তাদের হাসপাতালের সামনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। শব্দ শুনে হাসপাতালের মেইন গেটের সামনের এসে ওই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন তারা।
তিনি জানান, সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে নিজেদের হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। তবে চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। কারা তাকে গুলি করেছে সেটি বলতে পারছেন না।
নিহতের ভাই হাফিজ ঢামেক হাসপাতালে বলেন, আমার ভাই তারিক সাইফ মামুন একজন সাধারণ মানুষ। কী কারণে তাকে হত্যা করা হলো, আমি জানি না। সে কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত না। কারা তাকে হত্যা করেছে, কী কারণে করেছে আমার জানা নেই।
নিহত মামুনের স্ত্রী রিপা আক্তার বলেন, আমার স্বামী বিএনপি সমর্থিত একজন কর্মী ও পাশাপাশি ব্যবসা করতো। আজ তার কোর্টে হাজিরা ছিল। আমরা জানতে পারি আমার স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আছেন। পরে ঢাকা মেডিকেলে হাসপাতালে এসে আমার স্বামীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।